• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

মানবতাবিরোধী অপরাধ: এগারো জনের বিচার শুরু

প্রকাশ:  ১২ মে ২০২২, ২১:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুনামগঞ্জের মনিরসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২২ জুন এ মামলায় ওপেনিং স্টেটমেন্ট ও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যে দিন ঠিক করেন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পরে মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যরা আসামিরা পলাতক রয়েছে।

২০১৯ সালের ১৮ জুন মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিউমে মোট ১৫০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেটি ছিল তদন্ত সংস্থার ৭১তম প্রতিবেদন প্রকাশ। ওই সময় সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান, সহ-সমন্বয়ক সানাউল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন মনির (৬২), মো. জাকির হোসেন (৬২), মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬১), মো. তোতা মিয়া টেইলার (৮১) সুনামগঞ্জের শাল্লার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আর মো. আব্দুল জলিল (৭১) ও মো. আব্দুর রশিদ (৬০) একই জেলার দিরাইয়ের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

অন্য ছয় আসামি এখনো পলাতক। গ্রেপ্তারের সুবিধার্থে পলাতক ছয়জনের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করা হয়নি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যা ও গণহত্যা চালিয়েছিলেন আসামিরা।

আসামিদের মধ্যে মনির, সিদ্দিকুর, তোতা মিয়া ও রশিদ বিএনপির সমর্থক। জাকির শাল্লা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং জলিল আগে বিএনপির সমর্থক হলেও এখন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা থানার বিভিন্ন এলাকায় ৩৪ জনকে হত্যা, পাঁচ নারীকে ধর্ষণ, ৩০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ৩১ জনকে অপহরণ ও ১৪ জনকে নির্যাতনের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

২০১৬ সালের ২১ মার্চ এ মামলার তদন্ত শুরু করেন তদন্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ। ১৭ জুন তদন্ত শেষ হয়। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বিচার,মানবতাবিরোধী অপরাধ,ট্রাইব্যুনাল,আদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close