• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ইলিয়াস-বাবুলের বিরুদ্ধে পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশ:  ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১৩:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেননি। এ কারণে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেপ্তার করে। জেলে থাকা বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য এবং অপর আসামিরা পুলিশ ও পিবিআইর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য দেশে-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওই ভিডিও প্রচার করা হয়। আসামি ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি দেওয়াসহ পুলিশ, পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মানসম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে। এটি দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।

এজাহারে ওই ভিডিওতে প্রচারিত বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, আসামি ইলিয়াসের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করা হয়েছে। শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ২ নম্বর আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, ৩ নম্বর আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ৪ নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ১ নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ পুলিশ, পিবিআই ও বাদীর মানসম্মান চরমভাবে ক্ষুণ্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যসহ ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।

ইলিয়াস,বাবুল,তদন্ত প্রতিবেদন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close