• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

গরু চুরি : ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীর স্থায়ী জামিন

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

গরু চুরির মামলায় ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক বাবলী আক্তার স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ খান খোকন এ খবর জানিয়েছেন।

এদিন আসামি বাবলী আদালতে হাজির ছিলেন। এ সময় তার আইনজীবী স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গরু চুরির ঘটনায় আবদুল লতিফ বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ওই বছরের ২ নভেম্বর ভোরে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর বাবলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমানের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। তদন্ত শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম আদালতে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন—মো. হাবুল সরদার, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, বাবলী আক্তার, মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. মোর্শেদ আলী। এ ছাড়া নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় পলাতক আসামি ও ট্রাকচালকের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সাভারের ধামরাইয়ের আবদুল লতিফ তার দুটি গরু গোয়ালঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে ঘুমাতে যান। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পান। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ৪-৫ জন চোর তার দুটি গরু ট্রাকে তুলে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন বের হন। ট্রাক থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হন আসামি হাবুল সরদার। এরপর স্থানীয় জনসাধারণ তাকে আটক করেন। আসামি আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. মোর্শেদ আলী ও পলাতক আসামি শহীদ গরু দুটি চুরি করে আসামি বাবলী আক্তারের কাছে বিক্রি করেন। এরপর আসামি বাবলী লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে গরুগুলো আবারও আসামিদের মাধ্যমে বেশি দামে অন্য জায়গায় বিক্রি করেন।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর গাজীপুর থেকে আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া দেড় লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভি উদ্ধার করা হয়। এরপর আসামি সাইদুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তিনি একজন কসাই। ধামরাইয়ের মোরশেদ ও শহীদের কাছ থেকে দুটি গরু কিনেছেন। আসামি হাবুল সরদার, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মোর্শেদ আলী, পলাতক শহীদ এবং অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে এ মামলার পেনাল কোড ৪৫৭/৩৮০ ধারার অপরাধ, আসামি বাবলীর বিরুদ্ধে পেনাল কোড ৪১৩ ধারার অপরাধ এবং আসামি সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ৪১১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পলাতক আসামি শহীদ ও ট্রাকের অজ্ঞাতনামা চালকের সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতির প্রার্থনা করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে এ মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে।

ছাত্রলীগ নেত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close