চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু (৩৫) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল এবং তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ থাকায় আসামিদের আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে নতুন করে এই দিন ধার্য করেন বিচারক।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রনি মজুমদার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল এবং এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।