• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জাপানি তিন শিশুকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশ:  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

তিন সন্তানকে নিয়ে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার আলোচিত মামলায় আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচ্ছেদ হওয়া এই দম্পতির দুই শিশু জেসমিন মালিকা (বড়) ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে এবং মেজো মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি আপিল আবেদনের আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, বড় ও ছোট মেয়েকে নিয়ে এরিকো বাংলাদেশে বা যেকোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন, তবে বাবা সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। মেজো মেয়ে লাইলা লিনা বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন মা।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, রাশনা ইমাম ও অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। অন্যদিকে এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে, বাংলাদেশে থাকা জেসমিন মালিকা ও লাইনা লিনা জাপানি মায়ের কাছে থাকবে বলে রায় দেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন ইমরান শরীফ।

২০২৩ সালের ৯ মার্চ জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে তাদের মায়ের আবেদন নাকচ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে এ সংক্রান্ত আপিল জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় পর্যন্ত জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকবে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তারও আগে, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত। নাবালিকা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা কোথায় থাকলে কল্যাণ হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে এ রায় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় দেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। আর ছোট মেয়ে থেকে যান জাপানে মা এরিকোর সঙ্গে। তবে ওই দুই মেয়েকে জিম্মায় পেতে ২০২১ সালে বাংলাদেশে আসেন ওই জাপানি নারী। দুই মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করাতে রিট করেন তিনি।

শিশু,আদালত,আইন ও আদালত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close