• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

কচুক্ষেতের দুই জুয়েলারি দোকান থেকে ৩০০ ভরি স্বর্ণ লুট

প্রকাশ:  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেত এলাকার রজনীগন্ধা টাওয়ারের দুটি জুয়েলারি দোকান থেকে ৩০০ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ লাখ টাকা মূল্যের হীরা লুট হয়েছে।

মার্কেটের দু’জন নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় গত শুক্রবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে এসব লুট করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে মনির ও আলম নামে দু’জন ওই মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী। শুক্রবার রাতে তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। স্বর্ণ লুট করার পর পালিয়েছে তারা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকান মালিক আবুল কালাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ভাষানটেক থানায় মামলা করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। স্বর্ণের দোকানের মালিক আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, রজনীগন্ধা টাওয়ারের নিচতলায় পাশাপাশি তার দুটি জুয়েলারি দোকান। নাম ‘রাঙাপরী জুয়েলার্স’। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, নতুন তিনটি তালা লাগানো, যে তালা তিনি লাগাননি। তার লাগানো তালাগুলো ভাঙা হয়েছে। পরে নতুন তালা তিনটি ভেঙে দোকানে ঢুকে দেখেন, লকার ভেঙে তার সব স্বর্ণ ও হীরা চুরি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুই দোকানে ৩০০ ভরি স্বর্ণ এবং ৩০ লাখ টাকার হীরা ছিল। সবই চুরি হয়ে গেছে।

চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে পুলিশ চোর চক্র সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার রাতে মার্কেটটিতে মোট পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্যে মনির ও আলম নামে দু'জন রয়েছে। রাত দেড়টার দিকে দুই ব্যক্তিকে মার্কেটের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করায় মনির ও আলম। এরপর রাঙাপরী দোকানের তালা ভেঙে ওই দু'জনসহ আলম ভেতরে ঢোকে। বাইরে থেকে দোকানে তালা মেরে মনির অবস্থান নেয়। স্বর্ণ ও হীরা চুরির পর নিরাপত্তাকর্মী তালা খুলে দেয়। পরে দোকানে তিনটি নতুন তালা মেরে চারজনই পালিয়ে যায়।

ভাসানটেক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসনাত খন্দকার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, চুরি করার উদ্দেশ্যেই মনির ও আলম রজনীগন্ধা টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি নিয়েছিল। আলম সাত দিন আগে এবং মনির এক মাস আগে চাকরি নেয়। তারা চাকরি নেওয়ার সময় যে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করেছিল, সেটিও ভুয়া। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিম- এনই

স্বর্ণ চুরি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close