• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

টিপু হত্যার ঘটনায় মোট ২০ আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ:  ৩১ জুলাই ২০২২, ১৭:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহজাহানপুরে বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় সর্বমোট ২০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদ।

সম্পর্কিত খবর

    এর আগে, শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে টিপু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।

    গ্রেপ্তার এই চারজনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আওয়ামী লীগের নেতাও রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই চার আসামিরা হলেন- জাতীয় পাটির (জাপা) নেতা জুবের আলম খান রবিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান সোহেল ওরফে ঘাতক সোহেল ও মতিঝিল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল।

    ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদ বলেন, টিপু হত্যায় এর আগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া জবানবন্দী ও তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ঘটনায় সন্দেহভাজন সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসাকে ওমান থেকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে গুরুত্ব তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ জুলাই) মতিঝিল ও আশপাশের এলাকা থেকে ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

    তিনি বলেন, টিপু হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

    গ্রেপ্তার ৪ আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে এ ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে বলেও যোগ করেন তিনি।

    ডিবি সূত্র জানায়, এই পর্যন্ত টিপু হত্যার ঘটনায় সর্বমোট ২০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, ২৪ মার্চ টিপু এক দশক আগে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেফতার হলে তাকে পদচ্যুত করেছিল আওয়ামী লীগ। পরে তিনি মিল্কী হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও দলীয় পদ আর ফিরে পাননি। তবে তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি মহিলা কাউন্সিলর হন।

    টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু, যেখানে তিনি নিয়মিত বসতেন।

    ওই হোটেল থেকে মাইক্রোবাসে সঙ্গীদের নিয়ে ফেরার পথে আগ্নেয়াস্ত্রধারী এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়ির জানালা দিয়ে টিপুকে হত্যা করে পালিয়ে যান। হামলাকারীর ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। ওই সড়কে রিকশায় চড়ে যাচ্ছিলেন প্রীতি।

    পূর্বপশ্চিম- এনই

    টিপুু হত্যা
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close