• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বিকাশের দুই হুন্ডি ডিলারকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৩
নিউজ ডেস্ক

হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় বিকাশের দুই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)।

বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) রিপোর্ট-এর ওপর ভিত্তি করে গত মঙ্গলবার সিআইডি একটি দল নোয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে এই হুন্ডি ডিলারকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম হলো শাহাদাৎ হোসেন ও বলাই চন্দ্র দাস।

বহুদিন থেকেই বিকাশের এই এজেন্ট এলাকায় হুন্ডি ডিলার হিসেবে কাজ করে আসছিল। তবে ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাতে শুরু করলে সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় হুন্ডি ব্যবসা আরো জমজমাট হয়ে ওঠে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গ্রেফতারকৃত এই বিকাশ এজেন্ট বিদেশের হুন্ডি ডিলারদের সাথে বহুদিন থেকেই যোগসাজশে কাজ করে আসছিল। সিআইডি সূত্র বলছে, প্রাথমিক জবানবন্দিতে এই এজেন্ট দুবাই, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, হংকং-এর হুন্ডি ডিলারদের কাজ করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।

মূলত অবৈধ হুন্ডির রমরমার কারণেই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে প্রবেশ করছিল না। তবে দফায় দফায় সিআইডি এবং বিএফআইইউ’র যৌথ অভিযানের কারণে আবারো রেমিটেন্সের প্রবাহ চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বরাবরই চট্টগ্রাম বিভাগের বৈধ হুন্ডির একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠে ছিল। তবে বরাবর অভিযান চালিয়ে তারা এই সিন্ডিকেটের একাধিক হোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে কারণেই পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে।

এর আগে, গত নভেম্বরে হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে বিকাশের কর্মকর্তাসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি এবং পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

সে সময় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) কাজী শাহ নেওয়াজ, ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ ম্যানেজার খোরশেদ আলম, তিন বিকাশ এজেন্ট মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. নিজাম উদ্দিন এবং মো. আজিজুল হক তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

একইভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরেই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটি অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই হুন্ডি চক্রের সদস্যরা সে সময় চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার করে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তখন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা, ঢাকার মোহাম্মদপুর এবং খিলগাঁও মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা হয়।

আর আগস্টে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের প্রায় ৩০০ বিকাশ এজেন্টের সিম এই অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগেরও তদন্ত করেছে সিআইডি।

সিআইডি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close