• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

তুরাগে মারামারির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার পাঁয়তারা

প্রকাশ:  ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩৬ | আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, ২০:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তুরাগে স্যানিটারি লাইন স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ১২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা

সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে তুরাগের দিয়াবাড়ি স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিনের বাড়ীর গ্যাসের লাইনের কাজ করছিলেন মিস্ত্রি। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে নাসির উদ্দিন কাউন্সিলরের মিস্ত্রিকে কাজে বাধা দেয় পাশের বাড়ির জনৈক শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার। পরিবারটি এলাকায় ব্রিটিশ পরিবার হিসেবে খ্যাত। দীর্ঘ দিন থেকে এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও ভুয়া দলিলে জমি দখল এবং জমি নিয়ে অহেতুক মামলা মোকদ্দমা করে সাধারণ মানুষকে প্রায়ই হয়রানি করে আসছে পরিবারটি। এজন্য এ বাড়ির লোকজনকে স্থানীয়রা ব্রিটিশ পরিবার হিসেবে অভিহিত করে।

গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কাউন্সিলর ও তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের সাথে অহেতুক একটি ঝামেলা জড়াতে গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা ঘটিয়ে মামলাবাজি করার উদ্দেশে কিছু নারী সাংবাদিককে ব্যবহার করে ব্রিটিশ বাড়ির শফিক। নারী সাংবাদিক ও বাড়ির মহিলাদের দিয়ে কাউন্সিলরের সাথে ঝামেলা বাধাতে নোংরা ভাষা ব্যবহার করে কাউন্সিলরের লোকজনকে গালিগালাজ করে। গালিগালাজের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নারী সাংবাদিককে সামনে ঠেলে দিয়ে নাসির উদ্দিনের লোকজনের সাথে উত্তেজনাকর তর্কে জড়ায় শফিক ও তার লোকজন। মারামারির এ ঘটনায় কাউন্সিলরের ছেলে শফিকুল স্বপন এবং তাদের নিয়োগকৃত মিস্ত্রিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। মিস্ত্রির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউ-তে আছেন।

ঘটনার দিন রাতে ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তিন জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেট্রোরেলের ১ নং স্টেশনের পাশে ব্রিটিশের বাড়ি নামক স্থানে ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের বাড়ির স্যানিটারি লাইনের কাজ করার সময় বাধা প্রদান করেন সফিক নামের এক ব্যক্তি। এই বিষয়টি নিয়ে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় সফিক ও তার দুই ভাই রামদা-ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাউন্সিলরের লোকদের ওপর হামলে পড়ে। এসময় তাদের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয় নাসিরউদ্দিনের ছেলে স্বপনসহ চার জন।

এ ঘটনায় ব্রিটিশ বাড়ির শফিক মামলা করতে গেলেও সত্যতা না থাকায় পুলিশ মামলা নেয়নি। মারামারির ঘটনায় আহত স্থানীয় একজন নারী সাংবাদিককে ব্যবহার করে কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার করার চেষ্টা করছে শফিক। স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিনকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একজন নারী সাংবাদিককে দিয়ে মামলা করানোর পাঁয়তারা করছে শফিক গং।

তুরাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, নাসির উদ্দিন কাউন্সিলরকে হুকুমের আসামি করে তার ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজের ইমেজ দিয়ে এই রুজু করার জন্য বিভিন্ন চাপও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, নারী সাংবাদিককে ব্যবহার করে একজন রাজনৈতিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেয় করার প্রচেষ্টা নিয়ে উত্তরার সাংবাদিকরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সাংবাদিকরা এ ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।

মারামারি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close