ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায়, ‘বিএমডব্লিউ’র চার সদস্য গ্রেপ্তার
ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করা, ‘বিএমডব্লিউ’ গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মিরপুরের সেকশন-২ নম্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খাদিজা (২৭), মোঃ হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪), মুনমুন (৩০), ওয়াসফিয়া খানম (২৬)।
সম্পর্কিত খবর
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, মাস দেড়েক আগে চলতি পথে এক নারী রবিউল ইসলাম নামে এক গণমাধ্যমকর্মীর কাছে তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে সাহায্য চান। সাধ্যমতো সাহায্য করেন রবিউল। কৌশলে ওই নারী রবিউলের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেন। কয়েকদিন পর ফোন করে আবারো সাহায্য চান। এক পর্যায়ে রবিউলকে বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।
তিনি জানান, রবিউলকে আটকানোর পর তারা চাহিদামতো টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে জানায়, তার স্বামী মাদকসহ আটক হয়েছে। তখন পুলিশকে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেয় চক্রটি। একপর্যায়ে রবিউলকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ৯৯৯-এ কল দেয়। তখন পুলিশ গিয়ে ঘটনা জানতে পারে।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, মাস দেড়েক আগে চলতি পথে এক নারী তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে সাহায্য চান। আমি সাধ্যমতো সাহায্য করি। পরে তার বাবাকে বাসায় দেখতে গেলে দু-তিনজন এসে আমাকে ঘিরে ধরে। আমার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড নিয়ে টাকা তুলে নেয়। পরে আরো অনেক টাকা দিয়ে মুক্তি পাই।
মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সন্ধান পাই আমরা। চক্রটির অধিকাংশ সদস্যই নারী; আছে পুরুষও। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া মূলত এই চক্রটি পরিচালনা করে। তিনজনের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে তারা এর নাম দিয়েছে বিএমডব্লিউ গ্রুপ। বিএমডব্লিউ গ্রুপের সদস্যদের হাতে এমন অভিনব প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন অনেকেই।
পুলিশ বলছে, পরিবারের কোনো সদস্যের অসুস্থতার কথা বলে তারা মূলত ফাঁদ পাতে। কৌশলে বাসায় ঢুকে মাদক ও নারীসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম