• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জেলা পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির আশঙ্কা

প্রকাশ:  ২১ মার্চ ২০২২, ১৫:০৪
রাবি প্রতিনিধি

প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হলে দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাকরি প্রার্থীরা। এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের ঊর্ধ্বে রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

সংবাদ সম্মেলনে চাকরি প্রার্থীরা তাদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি কুচক্র ও স্বার্থান্বেষী মহল নিয়োগ পরীক্ষাটিতে জালিয়াতি করতে, দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাটি নেয়ার জন্য বেশ তৎপর হয়ে পড়েছে। এই চক্রটি চায়, যেকোনো মূল্যে নিয়োগ পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নিতে। এতে করে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কেন্দ্র দখল করে তাদের নির্ধারিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পথ সুগম করতে চায়। সেই সঙ্গে তারা নিয়োগকে বিতর্কিত করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের উস্কে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৎপর। অথচ কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হলে অন্য সকল চাকরি পরীক্ষার মতো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটিও কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

তারা আরো বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন সরকারি চাকরি পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আমরা যারা সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি তারা আজ দিশেহারা হওয়ার পথে। একদিকে চাকরি পরীক্ষায় নিয়োগ বন্ধ, অন্যদিকে যে কয়টি পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে কিছু পরীক্ষাতে আবার দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। শত হতাশা থাকার পরও আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলাম। চলতি বছর প্রাথমিকে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে আমরা মনে স্বপ্ন গাঁথা শুরু করেছিলাম। কিন্তু বিভাগীয় পর্যায়ে অনুৃষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আমাদের সেই স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়ার পথে

তিনি আরো বলেন,‘জেলা পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষাটি নেওয়ার খবর আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে। জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার অতীত রেকর্ড ভালো নয়। বিগত সময়গুলোতে জেলায় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে, যা আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে চাকরি প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে ভয়াবহ দুর্নীতি হতে পারে। এর প্রমাণ আমরা বিগত বছরগুলোতে এবং চলতি বছর একাধিক নিয়োগ পরীক্ষাতে পেয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ একসঙ্গে অতীতে কখনো হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় এমন একটি বড় নিয়োগ বেকারদের জন্য বড় একটি পাওয়া। যা বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষিত বেকার সমস্যা দূরকরণে সদূরপ্রসারী পদক্ষেপও বটে।

এসময় অন্যদের মধ্যে কামাল হোসেন, শিবলি নোমান, রেজোয়ান বারি, তাজমুল ইসলাম, মৃণাল হালদার, আবদুল হাকিম, সোমা পাল, নুরুজ্জামানসহ শতাধিক চাকরি প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএ/জেএস

প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২০,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close