• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চার দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশ

প্রকাশ:  ২৫ মার্চ ২০২২, ২০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

চার দফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আজ শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে সংগঠনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হল, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উপরে ভিত্তি করে টিউশন ফি নির্ধারণ, অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি নীতিমালা বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ব্যয়ের নূন্যতম ১০%গবেষণা খাতে বরাদ্দ, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত মানসম্মত শিক্ষক সংকট নিরসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজোয়ান হক মুক্ত'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাওন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি ওয়ালিদ হাসান লাবু।

এসময় বক্তারা বলেন, ৯০'র দশক থেকে উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি উদ্যোগকে স্বীকৃতি জানানো হয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ সংসদে পাস হয়। এটি পরে ১৯৯৮ ও ২০১০ সালে সংশোধন করা হয়। লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশে শিক্ষাকে সবসময় অলাভজনক খাত হিসেবে বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে পুরোপুরি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বা লাভজনক ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা সরকারি ( জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা প্রায় ৬০,০০০ , যা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল, অপরদিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থী ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তদারকি ও রাষ্ট্রের সচেতন দৃষ্টিপাত অতীব জরুরি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে কেন্দ্র করে অব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রনহীনতা, লাগামহীন বাণিজ্যিকীকরণসহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সভাপতির বক্তব্যে রেজোয়ান হক মুক্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ২০১০ এর খসড়া আইনের ৪২ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নির্ধারণ করতে হবে।কিন্তু তাঁর বাস্তবায়ন কতদূর? ১০৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ভিন্নতা আছে/একেক রকম।প্রত্যেক বছরই কোর্স ফি বৃদ্ধি যা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এছাড়াও গ্রেডিং পদ্ধতির ভিন্নতার একজন শিক্ষার্থীকে চাকুরীক্ষেত্রে নানামুখী বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কিন্তু এ বৈষম্য নিয়ে ইউজিসির মনিটরিং তো দূরের কথা নূন্যতম পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।

আন্দোলনই অধিকার আদায়ের একমাত্র পথ।আমাদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই ।

তাই আজ নতুন করে সময় এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার সংকটকে চিহ্নিত করার এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে হবে মুনাফা লোভী মালিক পক্ষের সকল চক্রান্তকে এবং সমস্বরে আওয়াজ তুলে ছিনিয়ে আনতে হবে শিক্ষা জীবনের অধিকার।

অবিলম্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বার্থরক্ষার ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা। একইসঙ্গে আগামী ২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে হরতাল পালনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

ছাত্র ইউনিয়ন,সমাবেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close