• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গবির ফেসবুক পেইজ হ্যাকড: মূলে হ য ব র ল কান্ড!

প্রকাশ:  ১০ মে ২০২৩, ২০:৫৯
সানজিদা জান্নাত পিংকি, গবি

হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পেইজটি এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার (৬ মে) আনুমানিক রাত ১০ টায় হ্যাকড হয় পেইজটি। তখনই দৃষ্টিগোচর হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত এডমিনরা একাধিকবার চেষ্টা করেও পেইজের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি।

এ বিষয়ে পরদিন (৭ মে) সকালে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তাতে কোনো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসায় এবং পেইজে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অশ্লীল প্রোফাইল ফটো, কাভার ফটো এবং পোস্ট আপলোড করায় একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গবি প্রশাসন।

শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অনেকের অভিযোগ, অপেশাদারীত্ব ও গাফিলতির মধ্য দিয়ে পেইজটি নিয়ন্ত্রিত হতো। শুধুমাত্র এটা নয়, একাধিক বিভাগীয় ফেসবুক পেইজ এমন নিরাপত্তাহীনতা ও অফিসিয়াল তথ্যদি ব্যবহার না করে চলছে। যার কারণেই আজকের এমন করুণ পরিণতি।

এ বিষয়ে পেইজের এডমিন ও সিএসই বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান জানান, এক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণার স্বার্থে এই পেইজটি চালু করা হয়। এখানে আমি ছাড়াও আরো তিনজন এডমিন ছিলেন। তারা ডেইলি প্রোগ্রামগুলো পোস্ট করতেন এবং ভর্তির বিজ্ঞাপনসহ সকল পোস্ট বুস্ট করতেন।

তিনি আরও জানান, পেইজ খোলার সময় ভেরিফাই করা হয়নি। তখন শুধু ইমেইলের মাধ্যমে ফেসবুক কর্মকর্তাদের জানিয়ে রেখেছিলাম। তবে টেকনিক্যাল ইস্যুর কারণে তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

পেইজের অন্য এডমিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামার মো. সাদ্দাম হোসেন রুবেল বলেন, যেহেতু অফিসিয়াল পেইজ ছিল তাই ভেরিফাই করা জরুরি ছিল। কিন্তু ফেইসবুকের নিজস্ব কিছু নীতিমালা আছে যা পূর্ণ না হওয়ায় ভেরিফাই করা সম্ভব হয়নি। আমরা যখনই সব শর্ত পূরণের প্রায় কাছাকাছি ছিলাম তখনই পেইজটি হ্যাক হয়ে যায়।

পেইজের আরেক এডমিন, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হোসেন এডমিনদের দুর্বলতা স্বীকার করে বলেন, এই পেইজ খোলার সময় থেকেই বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। পেইজটি অন্য একজনের ফেসবুক একাউন্ট থেকে খোলা হয়েছিল। এটা খোলার সময় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর, ইমেইল সবই ছিল ব্যক্তিগত। মূলত কার তথ্য দিয়ে এটি খোলা হয়েছে তা, আমিও নিশ্চিত না।

'অফিসিয়াল পেইজ' লেখা বিজ্ঞপ্তি (৯ মে) নিজের স্বাক্ষরিত হলেও পেইজটা কে খুলেছে বা কারা চালাচ্ছে, তা জানেন না বলে দাবি করেছেন রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, আমি আসার আগে হয়তো কেউ খুলেছে। আমি জানলে অনেক আগেই সিকিউরিটির বিষয়টি নিশ্চিত করতাম।

তিনি আরও জানান, আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ এবং ফেসবুকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close