• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে পুরান ঢাকায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৮
তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সাংবাদিকেরা মানববন্ধন করেছে।

আজ মঙ্গলবার(৮ আগস্ট) বিকেলে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের কর্মরত সাংবাদিকরা বলেন, ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা করার জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।

মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের অন্তর্নিহিত কারণ হল উপাচার্য আব্দুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার সংবাদ করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে।

জবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব অপূর্ব চৌধুরী বলেন, একজন উপাচার্য হবেন আন্তরিক, সহানুভূতিশীল ও কথা বার্তায় মার্জিত। তিনি কখনো দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন না। আর সেটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে কাউকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহিষ্কারও করতে পারেনা।

মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহির মিলন বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে দেশ ও জাতির দর্পণ। জাতির এ দর্পণকে স্বচ্ছ রাখতে হবে সব সময়। কুবি উপাচার্য দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গিয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে কবি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসান শুভ বলেন, মনোয়ার ইকবাল দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে তার লেখনীর মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও অনিয়মের সংবাদ তুলে ধরেছে। সম্প্রতি "দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে" শীর্ষক যে প্রতিবেদন ইকবাল করেছে সেখানে যদি কোন অসংগতি থেকে থাকে তাহলে কুবি উপাচার্যের উচিত ছিল প্রতিবাদলিপি দেওয়া। এভাবে হুট করে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একজন শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বহিষ্কারাদেশ দেওয়া সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা বলেন, দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বক্তব্যটিতে যদি কোনো ভুল তথ্য প্রকাশ করে থাকেন তাহলে উপাচার্য উক্ত মিডিয়া হাউজে প্রতিবাদ লিপি বা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারতো কিন্তু তিনি তা না করে সরাসরি তার বিরুদ্ধে বহিষ্কার আদেশ করেন যা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে । আমি চাই অতি দ্রুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁর স্বাভাবিক শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হোক, পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হোক।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close