ইডেন মহিলা কলেজে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারে রাজনৈতিক দলগুলো ইন্ধন দিচ্ছে
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোচিং ও গাইড ব্যবসায়ীরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার করছে। স্বার্থ হাসিলের জন্য কতিপয় রাজনৈতিক দল তাদের পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত ‘সার্ধশতবর্ষে ইডেন কলেজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি যড়যন্ত্র করছে। এবার নির্বাচনকে বানচাল করতে তারা পথে নেমেছে। আমরা কী একদিনে ৫শ বোমা হামলা দেখতে চাই নাকি ১শ সেতু উদ্বোধন চাই, তা আমাদেরকে বেছে নিতে হবে।
ইডেন কলেজ নিয়ে তিনি বলেন, এই কলেজটি শুরুর পর থেকে নানা জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। আজকে কলেজ যে অবস্থায় এসেছে, তার জন্য ১৫০ বছর লেগেছে। এ অঞ্চলের নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে ইডেন কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সকল রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে ইডেন সবার আগে ছিল।
তিনি আরও বলেন, নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত লীলা নাগ থেকে শুরু করে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, সংগীত শিল্পী সানজিদা খাতুন, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ সিদ্দিকা কবিরসহ অনেকেই এখানে শিক্ষাগ্রহণ করেছে। কলেজটি ১৫০ বছরে পদার্পণ করায় শুভেচ্ছা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, আমরা আজকের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সার্ধশতবর্ষ উদযাপন শুরু করেছি। এটি বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলবে। আশা করি ১৫০ বছরের ইতিহাস শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার উৎসাহ দেবে।
অনুষ্ঠানে কলেজের প্রাক্তন ১৮ জন ছাত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে বিশেষ সংবর্ধণা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তারা হলেন-জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ভাসা সৈনিক সিদ্দিকা জামান, শিক্ষাবিদ ড. সনজীদা খাতুন, এ এন রাশেদা, ড. আয়েশা বেগম, সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান, শিক্ষাবিদ ফাহমিদা খাতুন, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার, দিলারা জামান, ডলি জহুর, মুনিরা ইউসুফ মেমী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান, মাহফুজা খানম, বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনের জিএম ড. ইসমত মির্যা, নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, ক্রীড়াবিদ নার্গিস আরা এ্যানি ও চিকিৎসক শেহরিন এফ সিদ্দিকা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম