• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পুনরায় নীলদলে যোগ দিলেন জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের তিন জন

প্রকাশ:  ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২৫
তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ থেকে পদত্যাগ করে পুনরায় নীলদলে (নূরে আলম আব্দুল্লাহ-মো. মমিন উদ্দিন) যোগ দিয়েছেন তিন জন শিক্ষক। তারা হলেন স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার এবং অধ্যাপক ড. আসমা বিনতে ইকবাল। গতকাল মঙ্গলবার

(২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে নীলদলের এক সভায় তিনজন শিক্ষকের যোগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷

জবি নীলদল নেতৃবৃন্দের দাবি ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া,আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলা ইত্যাদি কারণে শিক্ষকরা নীলদলে যোগ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো তেমন কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় নি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের।

নীলদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নীলদলের নির্বাহী কমিটি ও অনুষদ কমিটির সভায় সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম,সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল সহ নীলদলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই যোগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। যোগদানকৃত সদস্যরা নীলদলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তাই তাদের এই ফিরে আসাকে সকলে স্বাগত জানান।

আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানে নীলদলের পক্ষ থেকে যোগদানকৃত শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, প্রগতিশীলতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত ও শক্তিশালী করে ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত পরিবেশ নিশ্চিতে সকলে পূর্বের ন্যায় একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এদিকে অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১৫নভেম্বর জবি নীলদলের আমন্ত্রণে (নূরে আলম আব্দুল্লাহ-মো. মমিন উদ্দিন) সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং কয়েকজন সদস্যের সাথে জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্যের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপের আলোচ্য বিষয় ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ও কল্যাণের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ,অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জবি নীলদলের সাথে জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ অগ্রগতি হওয়া প্রসঙ্গ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, আলোচনায় জবি নীলদল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও একই চেতনার অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে। এই তাগিদ থেকেই উক্ত সভায় নিজেদের মধ্যে অতীতে সৃষ্টি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্বের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে এবং এক হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানায় নীলদল। পরবর্তীতে গত ১৬ নভেম্বর জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভায় নীলদলের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপ সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয়।

সভায় উপস্থিত শিক্ষক সমাজের সদস্যদের কেউ কেউ নীলদলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হবার পক্ষে আবার কেউ কেউ বিপক্ষে মত দেন। আমরা যারা নীলদলের সাথে সংলাপে উপস্থিত ছিলাম তারা মনে করি একসঙ্গে কাজ করতে গেলে মতের মিল-অমিল ও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে দলে ভাঙন ও বিভাজন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করছে৷ এমতাবস্থায় অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার,অধ্যাপক ড. আছমা বিনতে ইকবাল এবং আমি সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ থেকে পদত্যাগ করে জবি নীলদলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিষয়ে জবি নীলদলের (একাংশের) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী যারা আছেন তাদের একসাথে কাজ করতে হবে। একসাথে হওয়াটাই প্রধান বিষয়। একসাথে হলেই বিশ্ববিদ্যালয় ভালো থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভালো থাকলেই আমরা ভালো থাকবো। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বাকিদেরও ঐক্যবদ্ধ করার৷

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, আমি এখন পরীক্ষার ডিউটিতে আছি৷ এ বিষয়ে আপনার সাথে অন্য সময় কথা বলব।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা-শিক্ষক সমাজ' সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন।

জবি নীল দল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close