সাংস্কৃতিক চর্চা এদেশের বহুমাত্রিকতাকে সামনে নিয়ে আসে: জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, সাংস্কৃতিক চর্চা আমাদের মেধা ও মননকে বিকশিত করে। এদেশের বহুমাত্রিকতা আছে, সাংস্কৃতিক চর্চা সেসব বহুমাত্রিকতাকে সামনে নিয়ে আসে।
সম্পর্কিত খবর
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের আয়োজনে 'উচ্চারণে খুলি মগজের দুয়ার' স্লোগানকে সামনে রেখে পঞ্চম আবৃত্তি উৎসব উপলক্ষে আবৃত্তি প্রযোজনা,কবি সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জবি উপাচার্য।
ড. সাদেকা হালিম বলেন, পাঠককে জানতে হবে কার কবিতা পড়ছি। সেই কবিতা জীবনের কথা,সামাজিক বৈষম্য, নারী-পুরুষের বৈষম্য এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা কতটুকু বলছে সেটিও বুঝতে হবে।
জবি উপাচার্য বলেন, আমরা ছয় ঋতুর কথা বলি। তবে এখন আর ছয় ঋতু নেই। খুব দ্রুত ঋতু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশ দুই ঋতুর দেশ হয়ে গেছে। এখন দুই ঋতুর মধ্যে অন্য ঋতুগুলোকে নিয়ে এসে আমরা আলোকিত করার চেষ্টা করি,উজ্জীবিত করার চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জবি আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েল ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আবৃত্তি সংসদের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ উপদেষ্টা কে.এম সুজাউদ্দিন।
জবি আবৃত্তি সংসদ আয়োজিত পঞ্চম আবৃত্তি উৎসবে কবি সম্মাননার জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদাকে নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সংগঠনের বিভিন্ন পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতা ও জবি আবৃত্তি সংসদের ১৯তম আবৃত্তি ও উপস্থাপনা কর্মশালার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
