• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘বিস্ময়কর রোবট’ আবিষ্কার

প্রকাশ:  ২৯ মার্চ ২০২২, ১৯:২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী ‘মিনা’ নামের একটি বিস্ময়কর রোবট আবিষ্কারের দাবি করেছেন। রোবটটি দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও উৎসুক জনতা প্রতিদিন ভিড় করছে ইনস্টিটিউটে।

রোবটটির আবিস্কারের দাবি করেছেন মেহেরাজ হোসেন সাগর, শান্তনু আচার্য ও ইয়াসির আরাফাত হৃদয়। তারা তিন জনই ওই প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী।

রোবটটি তৈরিতে আরডুনো মেগা সার্কিট, সার্ভো মোটর, রাজভেরি ফাই, জিএসএম, আই-এ সেন্সর, বেসিক কম্পোনেন্টসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে অর্থ ব্যয় হয়েছে বিশ হাজার টাকা। রোবটটিকে যেকোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে সক্ষম।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা রোবটটিকে প্রশ্ন করছে বাংলাদেশের জাতির পিতার নাম কি ? রোবটটি অনায়াসে বলে দিচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান’।এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোথায় ? বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ কবে ? বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কি ? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম কি ? বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, ফল ও পাখির নাম কি ? রোবটটি দিচ্ছে সব প্রশ্নের উত্তর।

রোবটটি আরও বলে দিচ্ছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের নাম, ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের বিভাগের সব শিক্ষকের নাম এবং আবিষ্কারকদের নাম। এছাড়া রোবটটি বিভিন্ন ছড়া ও গান গাইতে পারে।

আবিস্কারক শিক্ষার্থীরা জানান, রোবটটি শিশুদের বিনোদনসহ পড়াশোনার সঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবিষ্কার করা হেয়েছে। তবে এটিকে বাসা-বাড়ি এবং শপিংমলের নিরাপত্তার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বাসা-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ কিংবা অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে এলার্ম বাজাবে ও মোবাইল ফোনে কলের মাধ্যমে সর্তক করে দিবে।

শান্তনু আচার্য বলেন, রোবটটি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুপ্রেরণা ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের সব শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান শরীফ সোবহান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান আতিকুর রহমান, ইউসুফ হাসান ও রিয়াজ সালমান স্যার আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তা না হলে আমরা সফল হতে পারতাম না। তবে এখানেই শেষ নয়, এটিকে আধুনিক ও উন্নত করার ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সে আরও বলে, ভবিষ্যতে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করবো। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আমাদেরকে সে বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরীফ সোবহান বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আবিষ্কারে আসলেই আমি বিস্মিত হয়েছি। এই আবিষ্কারের পেছনে আমার বিভাগের সব শিক্ষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা ছিল। কোন পক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা রোবটটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করে বাজারজাত করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীদের এমন উদ্যোগে আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জয়দেব চন্দ্র সাহা বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও যেকোনো কিছু আবিষ্কারের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, এই রোবট আবিষ্কার তারই প্রতিফলন। ভবিষ্যতেও তা চলমান থাকবে। জনবান্ধব যেকোনো কিছু আবিষ্কারে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকবো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

লক্ষ্মীপুর,লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close