সেহরিতে খাবারের দাম বেড়েছে কিন্তু মান বাড়েনি!
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যেখানে রোজায় প্রোটিন ও পর্যাপ্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন সেখানে নিম্ন মানের খাবার উচ্চ মূল্যে দিতে হচ্ছে ।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং এ দেখা যায়, পূর্বে যে খাবার ৩৫ টাকা ছিল সেখানে একই খাবার রমজানের সেহরিতে ৬০ টাকা করে রেখেছে।
সম্পর্কিত খবর
রমজানে সেহরিতে হল থেকে বাইরে গিয়ে খাওয়াটা কষ্ট ও বিরক্তিকর, তাছাড়া বাহিরের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য তা আরও ভোগান্তি বৃদ্ধি কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ন্যায্যমূল্যে হলে খেতে পারলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকার হয় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং ম্যানেজার ওসমান ফারুক বলেন, সেহরিতে আমরা কয়েক আইটেম দিয়ে থাকি, যার মূল্য কোটবাড়ি ও আশেপাশের হোটেলগুলোর থেকে কম ও মানসম্মত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি হওয়ায় খাবারের মূল্য তুলনামূলক বেশি মনে হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব চিন্তা করছি।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, হলের খাবারের দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। অন্য সময়ের ৩৫ টাকার মিলের সাথে নামমাত্র আইটেম যোগ করে সেহেরীতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়া হলেও খাবারের মানের কোন উন্নয়ন হয়নি ?
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই পড়ালেখা করে। বাহিরের হোটেলের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিয়াতে খাবার তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করে সেখানে খাওয়ার কিন্তু ক্যাফেটেরিয়ার খাবার খুবই নিম্নমানের। বিশেষত সেহরির খাবারটা মূল্য অনুযায়ী মানসম্মত না।
এই বিষয়ে কুবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সেহরিতে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। ৩৫ টাকা থেকে ৬০ করা হলে এটা অবশ্যই অনেক অনেক। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব সেহেরিতে খাবারের অন্য আইটেম বাড়ানো হয়েছে কিনা এবং দাম অনুযায়ী মানসম্মত কিনা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি দ্রুত প্রভোস্টের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
সেহেরিতে দাম বৃদ্ধি বিষয়ে নজরুল হলের প্রভোস্ট মিহির লাল ভৌমিক বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সেহেরির খাবারের দাম ঠিক করা হয়েছে। এতে যদি শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ করে খাবার দাম বেশি ও মানসম্মত নয় আমরা আবার আলোচনা করবো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। পূর্বপশ্চিমবিডি/এমএইচ/জেএস