• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

কুবিতে তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, প্রশাসন নিশ্চুপ

প্রকাশ:  ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩৮
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাত-দিন প্রখর গরমে ও রমজানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই কোন গুরুত্ব ।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শিক্ষক ডরমেটরি, কেন্দ্রীয় মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশে লোডশেডিং শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে। এছাড়া আবাসিক হলসমূহে ভোল্টেজ বিড়ম্বনায় পাখা ও বাতি ঠিকমতো জ্বালাতে পারছেন না তারা। প্রায় ৪০ ঘন্টা পরও বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধান করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে শুক্রবার দুপুরে মসজিদ ও ক্যাফেটেরিয়াতে সাময়িকভাবে বিকল্প বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হলেও বঙ্গবন্ধু হলের সম্প্রসারিত অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।

এর আগেও গত ১৮ মার্চ তিনদিন ধরে হলে বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরা। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁজেই বের করতে পারেনি এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিকল্প সংযোগ দিয়ে দায়সারাভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘন ঘন লোডশিডিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা স্বতন্ত্র সাবস্টেশনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাকেশ দাস বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে লোডশিডিং হলে কিভাবে থাকা সম্ভব? রমজান মাসে তীব্রগরমে এমনিতে নাজেহাল অবস্থা। তার মাঝে আবার লোডশেডিং চলছে নিয়মিত। এছাড়া আমাদের অনেকের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। পড়াশুনা করা সম্ভবই হচ্ছেনা।

সাফিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে এ সমস্যায় ভোগছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। বিদ্যুতের এ ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তীব্রগরম আর মশায় এমনিতে অতিষ্ঠ তারমাঝে বিদ্যুতের এত সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন উদ্যােগই নিচ্ছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মো: জাকির হোসেন বলেন, প্রধান ফটকের কাজ করার সময় মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া সংযোগটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। আজ সন্ধ্যা নাগাদ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে আশা করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমি খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সমাধান করতে বলেছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার পরও যথাসম্ভব দ্রুত কাজ শেষ করতে বলেছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এমবি/জেএস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close