জমে উঠেছে টেলিভিশন প্রযোজক সমিতির নির্বাচন
আগামী ১৯ মার্চ টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এর নির্বাচন । এই নির্বাচন উপলক্ষে চলছে নমিনেশন পত্র জমা দান কারীদের পরিচিতি পর্ব।
সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মনোয়ার পাঠান এবং রোকেয়া প্রাচী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন সাজু মুনতাসির ও সাজ্জাত হোসেন দোদুল।
সম্পর্কিত খবর
বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, টেলিপ্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রয়েছেন মনোয়ার হোসেন পাঠান। সেই দিক থেকে সভাপতি হিসেবে তার অবস্থান খুবই সুদৃঢ়। নির্বাচনের মাঠে অপেক্ষাকৃত নতুন রোকেয়া প্রাচী।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসিরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। মুনতাসির মামুন সাজু যেহেতু বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সেই দিক থেকে সাংগঠনিকভাবে ভোটের মাঠে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন বলে সংশ্লিষ্টদের ভাবনা।
তবুও ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়। তবে সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা ভোটের পরিবেশ যেন সুস্থ থাকে এবং এটা যেন কোনোভাবেই এফডিসির শিল্পী সমিতিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির মতো কোনো জটিলতা তৈরি না করে। শিল্পের পরিবেশটা যেন ঠিক থাকে।
নির্বাচনকে নিয়ে সাজু মুনতাসির এবং মনোয়ার হোসেন পাঠান বলেছেন, আমরা আমিত্বকে বিশ্বাস করি না বলেই আমাদের স্লোগান - আমি না, আমরা। এই স্লোগানে আমরা সমমনা ২৭ জন এক হয়েছি। আমরা মনে করি আমিত্বকে দূরে ঠেলে আমরা সবাইকে নিয়ে টেলিপ্যাবকে সময় উপযোগী, আধুনিক এবং কার্যকর একটি সংগঠনে রূপ দিতে পারবো। আমরা বিশ্বাস করি প্রযোজকরাই প্রযোজকদের মনের কথা বুঝবেন এবং সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন। টেলিপ্যাব আমাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সংগঠন। কিন্তু নানাবিধ কারণে সেটি বাস্তব রূপ পায়নি। আমাদের অঙ্গীকার যে কোন মূল্যে সবাইকে নিয়ে টেলিপ্যাবকে প্রধান সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো আগামী দুই বছরের মধ্যেই।
তারা আরো বলেন, আমাদের পরিচয় আমরা প্রযোজক, এবং প্রযোজকদের জন্যই গড়ে তুলবো আগামীর টেলিপ্যাব। আমরা আমাদের নিজ নিজ নির্বাচনী ইশতেহারে ততটুকুই বলবো, যতটুকু দুই বছরে বাস্তবায়নযোগ্য। আমরা প্রযোজকদেরকে মিছে স্বপ্নে বিভোর করতে চাই না, কথার ফুলঝুরিও ছিটাতে চাই না। কথা দিলাম আমাদের ভাবনা হবে এবার সেটাই, যা কেউ আগে ভাবেনি এবং সেই ভাবনা অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য, অলীক স্বপ্ন নয়। ভাবনার বাস্তবায়নে সাংগঠনিক দিক এবং আইনী দিক, দুটো বিষয়েই আমরা শতভাগ সচেতন। শুধু প্রয়োজন সকলের সমর্থন।
পূর্বপশ্চিম/এসকে