• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মানুষের পক্ষে কথা বলতে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মডেল আরিজ

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৭:৩৪
ডেস্ক রিপোর্ট

মানুষের সমস্যাসংকট, পরিবেশ জলবায়ু সংকট নিয়ে কথা বলার মঞ্চ খুঁজতে গিয়েই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী আরিজ চৌধুরী।

সম্প্রতি মিশরে আয়োজিত মিস ইকো ইন্টারন্যাশনাল জয়ী এই মডেল ও অভিনেত্রী পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা জানান।

আরিজ চৌধুরীর মতে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার মঞ্চটি অংশগ্রহণকারীদেরকে অনেকের কাছে পৌঁছে দেয়। ফলে এটা জনগণের পক্ষে আওয়াজ তোলার একটা শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।

মানুষের সমস্যাসংকট, পরিবেশ জলবায়ু সংকট নিয়ে কথা বলার মঞ্চ খুঁজতে মিস পাকিস্তান হতে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে এই মডেল বলেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতা বাছাইয়ে একজন প্রতিযোগির সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে তার মেধা ও ব্যক্তিত্বও ফুটে ওঠে। যার মধ্যে এই বিষয়গুলো রয়েছে সে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ফলে আমিও চেয়েছি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের দেশ পাকিস্তানের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছাতেও ভূমিকা রাখতে চেয়েছি।

বৈশ্বিকভাবে পাকিস্তানের প্রথম নারী মডেল হিসেবে প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করাকে নিজের অন্যতম বড় গর্ব উল্লেখ করে আরিজ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। যখন আপনার নাম আপনার নামের সাথে নয়, আপনার দেশের নামের সাথে ডাকা হয় সেই সময়ের প্রত্যেক মুহূর্ত অসাধারণ।

সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড পাকিস্তান বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অনেক দেশের বহু প্রতিযোগী অংশ নেয়। আমি তাদের মধ্যে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি। এ ছাড়া আমার দেশের ভালো ভালো দিকগুলোও তুলে ধরেছি।

প্রতিযোগিতায় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে কি প্রশ্নে মিস পাকিস্তান বলেন, কখনোই না। বরং আমরা যারা সেখানে গিয়েছি তাদের মনেই হয়নি, বাড়ির বাইরে কোথাও আছি। থাকার জায়গা, ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া, ফিরিয়ে আনা সব দায়িত্ব নিয়ে করেছে। এমনকি সবসময় পাশে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

তবে দেশে সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় কিছুটা অভিমানের সুর এই মডেলের কথায়। তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টা নিয়ে একইভাবে দুঃখও পেয়েছি। আবার সাহসও পেয়েছি। কেউ পাশে ছিল না, অথচ আমি শক্তিশালীভাবে দাঁড়িয়েছি। প্রতিনিধিত্ব করছি এবং সুনাম বয়ে আনতে পেরেছি।

আবার একইসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত এসব প্রতিযোগিতা সরকারিভাবে হয় না। এটা সরকারের কাজ না। তবে ফিলিপাইন, ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশ এই প্রতিযোগিতাকে সহায়তা দিয়ে থাকে। কারণ এটা থেকে তাদের দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসার ও সুনাম তৈরি হয়।

আরিজ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানে সৌন্দর্য বিষয়টিকে আলাদা করে বিচার করাটা বিলাসিতার মতো। তবে ইউরোপীয়রা ও পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্য বা ফার্সি দেখলে সেটাকে অনন্য সৌন্দর্য বলেই বিবেচনা করে। তারা মনে করে আমাদের মধ্যে অত্যধিক সৌন্দর্য ও সব ধরণের মাধুর্য রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে ভূমিকা রাখতে চাই বলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চেয়েছি। অন্তত তারা জানুক এখানে পাকিস্তানিরাও আছে। আর পাকিস্তানিরা পরিবেশ, জলবায়ু, প্রাণী ও অনাথ শিশুদের পক্ষে আওয়াজ তুলছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জনসম্পৃক্ত বিষয়ে আওয়াজ তোলায় অনেকেই তার সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান মিস পাকিস্তান। এমনকি একারণে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি।

এই মডেল বলেন, এই প্রতিযোগিতায় এসে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। অনেক দেশ ঘুরেছি, থেকেছি। তাদের সংস্কৃতি, নিয়ম ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমার বিশ্বজুড়ে বন্ধু হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আমাকে মিস পাকিস্তান হিসেবে উল্লেখ করে। এটা গর্বের।

পূর্বপশ্চিম/এআই/এনএন

মডেল,সুন্দরী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close