যাযাবর রাসেলের গানে ‘তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের আকুতি’
গাছের ছায়ায় সবুজাভ রাতারগুলের পানিতে নৌকার গলুইয়ে বসে হৃদয় চেড়া বেদনায় ভেসে আসছে, ‘‘কইয়ো কইয়ো কইয়ো রে ভ্রমর কৃষ্ণরে বুঝাইয়া’’।
মাথার কাছে নুইয়ে পড়া গাছের পাতা ভেদ করে গানটি স্পর্শ করছে চারপাশকে। ছেঁদ করছে প্রেমিক মন।
সম্পর্কিত খবর
ঝিঝি পোকার ডাকের সঙ্গে সঙ্গে বেদনার্ত সুর যেনো রাধার মনের গভীরের লুকায়িত কষ্ট ফুটে উঠছে। প্রেয়সীর আর্তনাদে ছড়িয়ে পড়ছে ঘর ছাড়া প্রেমিককে বেঁধে রাখার ভীষণ আকুতি। তৃষ্ণার্ত হৃদয় চাইছে ভ্রমরের সহায়তা।
শিল্পী যাযাবর রাসেলের কণ্ঠে রাধা রমনের কালজয়ী গানটি হয়ে উঠেছে জীবন্ত। সিলেটের রাতারগুলে ঘুরতে গিয়ে ধারণ করা গানটি নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন গায়ক।
শুধু এই গানটি নয়। যাযাবর রাসেলের হৃদয়স্পর্শী স্বরের এমন গান প্রায় নিয়মিতই প্রকাশ পায় তার ফেসবুক ও ইউটিউব পেজে। সেসব গান মোহনীয় হয়ে শোনেন শ্রোতারা। গিটারের ছয় তারে দুলে ওঠে যে কারো মন। গায়ককে উৎসাহ জানান তারা। আহ্বান জানান আরও গান প্রকাশের। তুলে ধরেন, শিল্পীর স্বরের আবেশ করা ঢংয়ের কথা।
শিল্পী হতে চাইলেও রাসেলের শুরুটা কথাবন্ধু তথা আরজে হিসেবে। করেছেন টিভি উপস্থাপনাও। তবে সবকিছুর ফাঁকে নিজের ও শ্রোতাদের জন্য চালিয়ে গেছেন সংগীত চর্চা। এমনকি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতের ওপর নিয়েছেন উচ্চ শিক্ষাও।
তার গাওয়া ‘‘তুমি বাসো কি না বাসো’’, ‘‘পিরিতি’’, ‘‘থাকো বন্ধু হিয়ার ও মাঝারে’’সহ বাংলা বহু ফোক গানই শ্রোতাপ্রিয়। নিজের মৌলিক গানও প্রকাশ করেছেন। কাজ করেছেন আ্যালবামের সংগীত পরিচালনাতেও।
স্ত্রী ও এক সন্তানের পরিবার নিয়ে রাজধানী ঢাকায় তার বাস। বর্তমানে একটি রেডিওর পাশাপাশি চাকরি করছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে। কাজ ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ফাঁকে যাযাবর রাসেলের ব্যস্ততা গানেও। চান সংগীত শিখে শিখে আরো পরিণত হতে।
ফোক গানের আবেগকে ফুটিয়ে তুলে দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছাতে চান তিনি। ইচ্ছে আছে নিজের কিছু গান করারও। উচ্ছ্বন্নে যাওয়া প্রেমিকের ন্যায় নামের সঙ্গেও জুড়ে নিয়েছেন যাযাবর শব্দটি!
গানের যাযাবর তাই বারবার গেয়ে ওঠেন ‘‘তোমারে না দেখলে আমার ঘরে রয় না মন’’, কিংবা ‘‘মন মাঝি খবরদার’’ গান!