জয়ার প্রশ্ন
নাটকের দৃশ্যে খাঁচাবন্দি টিয়া পাখি দেখানোর কারণে নাট্যনির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট’। এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। সম্প্রতি ‘হাওয়া’ সিনেমায় খাঁচাবন্দি শালিক পাখি প্রদর্শন ও হত্যার অভিযোগে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এ পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের শিল্পী-কুশলীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গতকাল বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে টেলিভশন নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালেন জয়া আহসান।
এ সময় ‘হাওয়া’ সিনেমার বিষয়টি উল্লেখ করে জয়া আহসান বলেন, ‘জীব-বৈচিত্র নিয়ে আমার খাঁটি আবেগ আছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আমি আরো বেশি কথা বলতে চাই। ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ এসেছে। এটা কেন? চলচ্চিত্র তো একটি বড় স্বার্থে নির্মিত হয়েছে। এগুলো নিয়ে এরকম সরলীকরণ করলে হবে না! প্রতিনিয়ত বন উজাড় হচ্ছে, নীলক্ষেতে পশুপাখির সঙ্গে অমানবিক আচরণ হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয়ে বনবিভাগ বা প্রশাসন কোথায়?’
নানা দিক থেকে চলচ্চিত্রের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তা জানিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘চলচ্চিত্রের উপর কখনো প্রশাসনিক চাপ, কখনো অদৃশ্য চাপ- এগুলো বন্ধ করতে হবে। শুধু চলচ্চিত্র নয়, যেকোনো শিল্পমাধ্যমের ক্ষেত্রে এসব চাপ বন্ধ করতে হবে।’
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ‘রাজকাহিনী’খ্যাত অভিনেত্রী জয়া বলেন, ‘আমরা কি লেখালেখি করব না, থিয়েটার করব না, আমরা কি আমাদের কথা বলব না? একটি চরিত্রকে এভাবে দেখানো যাবে না, ওভাবে দেখানো যাবে না- এসব বললে কীভাবে হবে? পৃথিবীর সব চরিত্র যদি নিয়ম মেনে তৈরি হয়, তা হলে তো কোনো ফিকশনই তৈরি হবে না। আমরা কি গল্প বলব না?’
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই