অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা থামছেই না

কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে অভিষেকের হাতে বিয়ের আংটি না দেখতে পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনুরাগীরা। যে বিয়ের আংটি অভিষেক কখনই হাতছাড়া করতেন না, সেই আংটি কেন খুলে ফেলেছেন অভিষেক? আর এরপরই ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে জুনিয়র বচ্চনের বিচ্ছেদের জল্পনা আরও জোরালো হতে শুরু করে। এদিকে এর আগে মণীশ মালহোত্রার দিওয়ালি পার্টিতেও ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা যায়নি অভিষেককে। ঐশ্বরিয়া ছিলেন না বচ্চন পরিবারের দীপাবলির সেলিব্রেশনেও। সেদিনই মেয়েকে নিয়ে বিমানবন্দরে দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে।

শুধু তাই নয়, মাঝে শোনা গিয়েছিল শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনও বৌমাকে আনফলো করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম থেকে। তবে এত ঘটনার পরেও বচ্চন পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। কখনো ‘আর্চিজের’ প্রিমিয়ারে, তো কখনো আবার আরাধ্যা বচ্চনের স্কুলের অনুষ্ঠানে। একদিকে বিচ্ছেদের আলোচনা অব্যাহত। মেয়ের স্কুলের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অভিষেক-ঐশ্বরিয়াকে একসঙ্গে দেখা গেল।

প্রথম দিন আলাদা আলাদা গাড়ি থেকে নামতে দেখা গিয়েছিল তাদের। তারপর অবশ্য ফিরেছিলেন একই গাড়িতে। এবার দ্বিতীয় দিনে দেখা গেল পাশাপাশি হেঁটে স্কুলে ঢুকছেন তারা। আর একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। আর ঐশ্বরিয়া তো অভিষেকের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন। এ ছবি প্রকাশ্যে আসতেই জন্ম নিয়েছে নতুন ভাবনা। অনেকেই ভাবছেন তা হলে এত দিন ধরে যে আলোচনা চলছে তা কি সম্পূর্ণ ভুল? আরাধ্যার স্কুলের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দাদা অমিতাভও। এসেছিলেন ঐশ্বরিয়ার মা-ও। তাকে হাত ধরে গাড়িতে তুলে দেন জামাই অভিষেক।

আর নাতনির পারফরম্যান্স দেখে তো মুগ্ধ দাদা। অমিতাভ নিজের ব্লগে লেখেন- ‘আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গর্বের একটা মুহূর্ত। মঞ্চে যেভাবে অভিনয় করল আমাদের পরিবারের এই ছোট্ট সদস্য, তা সত্যিই ওর সহজাত প্রতিভা। যদিও ছোট্ট মানুষটা আর ছোট্ট নেই, ক্রমে বড় হয়ে উঠছে।’ এসব কিছুর মাঝে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা থামছে না।