• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কোরিয়ার সিটি হল যেন রমনার বটমূল,রাষ্ট্রদূত সূর তুললেন যন্ত্রীতে

প্রকাশ:  ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩১
কোরিয়া সংবাদদাতা

লাল সবুজের চিরায়িত বাংলার হাজার বছরের সার্বজনীন মিলন উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরনোকে ভুলে, জীর্ণতাকে মুছে ফেলে উৎসবে-আনন্দে আহ্লাদে মাতোয়ারা হওয়ার দিন। ১৪২৫ কে বিদায়, ১৪২৬ সালকে বরণ করতে উৎফুল্লচিত্তে বাঙালির প্রাণের এই উৎসবকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী বাংগালী জাতি স্বত্তার বর্ণিল পরিচিতি।সমকালীন সময়ে দেশের গন্ডি পেরিয়ে, বৈশাখের রুপ প্রবাসের মাঠিতে সর্বাজনীনতায় ছুয়েছে।

বাংলা নববর্ষ, বাঙালি ও বৈশাখী মেলা একই সূত্রে প্রাণোচ্ছল বর্ণিল আবহে বিনিসূতোয় গাঁথা। বাঙালি তার নিজস্ব জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যতগুলো উৎসব পালন করে এর মধ্য বাংলা নববর্ষ সর্বাগ্রে। বৈশাখ বরণের সঙ্গে যে অনুষ্ঠানটি ওতপোতভাবে জড়িত, তা হলো আমাদের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা।

এই মেলা শুধু ঢাকার রমনা নয়, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর থেকে উপশহরে, পুরো বিশ্বময়। যেখানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সেখানেই বৈখাখ।এরই পরিক্রমায় আজ দক্ষিণ কোরিয়া সিউলের সিটি হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পরিণত হলো প্রাণের উৎসবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসে হে বৈশাখ এসো গানটি সূর তুলেন রাষ্ট্রদূত নিজেই। যন্ত্রীতে সূর তুলকোরিয়ায় হাজার হাজার বাংলাদেশীদের বসবাস।

প্রবাসী বাংলাদেশী, কোরিয়ান নাগরিগ, বিদেশী নাগরিক, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক,সিউলস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কোরের ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,বাংলাদেশী নানান সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা। দূতাবাসের উদ্যোগে বৃহৎ পরিমন্ডলে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হলো সিউল সিটি হলের অষ্টম তলায়। কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্ণিল রঙে-ঢঙে সেজেছেন, মেতেছেন ভিন্ন আমেজে ।

আহ্লাদিত মনে প্রবাসীরা ১৪২৬ বাংলা বর্ষকে বরণ করেন। বেলা ১১.৩০ মংগল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এই আয়োজনে শিকড়সন্ধানী প্রবাসী বাঙালিরা দেশের সুরে মেতেছেন, নেচেছেন। কোরিয়ার বুকে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পয়লা বৈশাখ যেন একখন্ড বাংলাদেশ।

আজ ১৪ এপ্রিল রোববার কোরিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অনুষ্ঠান স্থলে মানুষের উপচে পড়া ভিড় । উল্লেখ্য দর্শকদেরকে আনন্দ দিতে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন শিল্পকলা একাডেমির একঝাঁক তারকা শিল্পী।শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের গান, নাচ আগত দর্শকরা আনন্দের সাথে উপভোগ করেন।বিদেশীদের মাটিতে ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে আসা মানুষগুলো দেখা হওয়া বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আড্ডা-খুনসুটিতে মেতে উঠেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে ইলিশ, পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, বেগুনভর্তা দিয়ে.. আপ্যায়ন করানো হয়। আগত দর্শনার্থীরা রসনাবিলাশী বাংলাদেশী খাবারের পাশাপাশি উপভোগ করেন, মনমাতানো, প্রাণজুড়ানো, বর্ণিল,প্রাণবন্ত দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

পিবিডি/এআইএস

কোরিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close