• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে প্রয়োজন সবার নিশ্চিত পুষ্টি

প্রকাশ:  ১২ জুন ২০২৩, ১৬:৩৩ | আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, ১৭:৩৩
অনন্যা মেহজাবিন
লেখক

‘মজবুত হলে পুষ্টির ভিত, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে নিশ্চিত’ প্রতিপাদ্যে ৭-১৩ জুন দেশব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। পুষ্টি সপ্তাহের মূল উদ্দেশ্য- সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও জীবন ধারা বজায় রাখতে পুষ্টি সম্পর্কে যথাযথ সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এজন্য একটি রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চাই সুস্থ-সবল নাগরিক, যারা গড়ে তুলবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

পুষ্টি জৈবিক প্রক্রিয়া। খাদ্য-বস্তু গ্রহণের পর যে জটিল প্রক্রিয়ায় খাদ্য উপাদানগুলো ভেঙে সরল উপাদানে পরিণত হওয়ার পর শোষিত হয়ে দেহে তাপশক্তি উৎপাদন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেহের ক্ষয় পূরণ করে- তাকেই পুষ্টি বলে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের খাদ্য ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও, এখনও ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের পুষ্টিকর খাবার কেনার ক্ষমতা নেই। শতাংশের হিসাবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ।

জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। গর্ভধারণের সময় নারীদের চাহিদা তুলনামূলক বেশি খাবার খেতে হয়। মা ও শিশু পুষ্টির চাহিদা যেভাবে নজর রাখা হয়, বয়সন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের বেলায় বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এ ছাড়াও, প্রবীণ বয়সীদের পুষ্টি চাহিদা অধিকাংশ সময় অবহেলিত হয়।

শিশুদের পুষ্টির জন্য জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ এবং ৬ মাসের পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি তৈরি সুষম খাদ্য দিতে হবে। শিশুদের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফলিক এসিডের ঘাটতি দেখা যায়। তাই তাদের ক্যালসিয়াম ফলিক, এসিড জাতীয় খাবার খেতে দিতে হবে। যাতে শিশুদের খর্বতার হার কমে। কিশোর-কিশোরীদের ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার, রঙিন শাকসবজি খেতে উৎসাহিত করতে হবে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিতে হবে এবং নিয়মমাফিক আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাবার দিতে হবে।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্বাভাবিক মানুষের ২১০০ কিলো ক্যালরি প্রয়োজন। এভাবে সব বয়সী মানুষের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে পারলেই একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

পুষ্টি সপ্তাহে সবার প্রতি আহ্বান, বেশি করে নিরাপদ পানি পান করতে হবে। রঙিন শাক-সবজি, মৌসুমি ফল ও সুষম খাবার খেতে হবে। ফাস্টফুড, অতিরিক্ত লবণ, চিনি বাদ দিতে হবে। দূষিত পানি দ্বারা তৈরি এবং জীবাণুযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। মাছ-মাংস শাক-সবজি ফলমূল কেনার সময় যথাসম্ভব গন্ধ, রং ও আকার যাচাই করতে হবে। ক্ষতযুক্ত খাদ্যদ্রব্য, পাখি-খাওয়া দূষিত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। নিয়মিত শরীর চর্চা করা। আসুন, সবাই মিলে একটি নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি।

লেখক: শিক্ষার্থী (পুষ্টিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

পুষ্টি,খাদ্য
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close