• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এ সময় ডায়রিয়া হলে যা করবেন

প্রকাশ:  ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০০:৫৮ | আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০১:০১
অনলাইন ডেস্ক

দেশে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে বড়দের তুলনায় শিশুরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কখনও কখনও এই রোগ প্রাণঘাতীও হয়। তাই ডায়রিয়া হলে অবহেলা করা ঠিক নয়। এ সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ডায়রিয়া হলে কিছু কিছু খাবার রোগীকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। আবার এমন কিছু খাবার আছে যা এসময়ে এড়িতে চলা উচিত। এজন্য এসময় খাবারের বিষয়ে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।

১. এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খাবেন।

২. রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন- ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ানো প্রয়োজন।

৩. ১০ বছরের বেশি বয়সীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খাবেন।

৪. শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা করেছে আনুমানিক সে হিসেবে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

৫. শিশু বমি করলে ধীরে ধীরে খাওয়ান যেমন-৩-৪ মিনিট পরপর এক চা চামচ করে খেতে দিন।

৬. খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি ২ বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।

৭. ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।

৮. ছয় মাস থেকে ৫ বছরের শিশুকে দৈনিক একটি করে জিংক ট্যাবলেট পানিতে গুলিয়ে একটানা ১০ দিন খাওয়াতে হবে।

তারপরও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে বা বেশি খারাপ হলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল/স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ডায়রিয়া হলে কিছু কিছু খাবার হজমে সমস্যা করে। এসময় ঝাল খাবার, ভাজাপোড়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিমাত্রায় আঁশযুক্ত খাবার যেমন- শক্ত ভাত, বাদাম, পেয়াজ ,রসুন, প্যাকেটজাত খাবার, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি , টক ফল, দুধজাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের জুস, আঙুর, বেদানা খাওয়ানো যাবেন না।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

ডায়রিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close