রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডির বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন
রেলওয়ের জমি বন্ধক দেখিয়ে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট বা অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে তিনি জানান।
সম্পর্কিত খবর
দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের আগস্টে রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি, ডিএমডিসহ সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুর রেজা।
মামলার আসামিরা হলেন— রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি এম ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা প্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, একই বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাস, শিল্পঋণ বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার (বর্তমানে স্থানীয় কার্যালয়ের এজিএম) আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচআর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। তবে মামলার চার্জশিটে ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাসের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রেখেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকের মেয়াদি প্রকল্প ঋণের বিপরীতে বন্ধক রেখে মোট ১৬১ কোটি ৯১ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৫ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।
পূর্বপশ্চিম- এনই