পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে ৪ সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে তারল্য এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ৪ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও সিকিউরিটিজ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বিএমবিএ’র প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতি সায়েদুর রাহমান, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং এমএসআই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকার উপর আলোকপাত করা হয়। এসময় পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়াসহ ৪টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো: বিগত সময়ে শেয়ার বিক্রির ফলে অনেক বিনিয়োগকারীর হিসাবে অলস তহবিল পড়ে আছে। যারা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে সেসব বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুনরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্লায়েন্ট সাইজ অনেক বড়। তাদের মধ্যে অনেক ইন-অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট আছে যাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগসহ উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

বিগত সময়ে কিছু সংখ্যক মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার নিজস্ব পোর্টফোলিও হিসাব থেকে কিছুটা বিক্রয় চাপে ছিল। ফলে তাদের হিসাবে বর্তমানে কিছুটা বিনিয়োগ যোগ্য তহবিল রয়েছে তা থেকে প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অন্ততপক্ষে ১০ শতাংশ নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক কম। এ সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজাররা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ

বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে বাজারে আনতে হবে, যা বাজারের বিনিয়োগ বাড়াতে এবং একইসাথে বাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।