• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

দাম বেড়েছে সবজির, পিছিয়ে নেই চাল-ডিম

প্রকাশ:  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৭ | আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। শুধু সবজি নয়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাজারে দেখা গেছে চাল ও ডিমের দামও বেশি।

বাজারে এখন বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। এ দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, বেগুন, ধুন্দুল, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, চিচিঙ্গা, শশা ও মিষ্টিকুমড়া। তবে অমৌসুমে বাজারে আসা কিছু কিছু সবজির দাম আরো বেশি।

যেমন শিম কিনতে হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। মাঝারি আকারের জালিকুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির কারণে সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দাম বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, বৃষ্টিবাদল হলে সবজির দাম বাড়ে। কারণ, তখন সবজি ওঠে কম। তবে এবার দাম বাড়লেও বাজারে সরবারহ মোটামুটি ভালো।

বাজারে মোটা-সরু সব চালের দামই বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে স্বর্ণা ৫০-৫২ টাকা ও বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। অথচ আগে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা ৪৮-৫০ টাকা ও বিআর-২৮ এর দাম ছিলো ৫৮-৬০ টাকা। এছাড়া আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট ও নাজিরশাইল। এসব চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০-৮৪ টাকায়।

মেরুল বাড্ডার চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এখন চালের সিজন (মৌসুম) শেষ। চাল আমদানি হলেও বাজারে সেগুলো আসছে না। এ জন্য দাম বাড়তি।

তিনি বলেন, মিলপর্যায়ে বস্তাপ্রতি চালের দাম ১০০-১৫০ টাকার মতো বেড়েছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও মিলছে না চাহিদামতো চাল। মোকামে যে পরিমাণ চালের অর্ডার দেওয়া হচ্ছে তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে বাজারে আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের দাম। বড় বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম উঠেছে প্রতি হালি ৪৫ টাকায়। আর পাড়া–মহল্লার মুদিদোকান থেকে ডিম কিনতে লাগছে হালিতে ৫০ টাকা। এক মাস আগে এ দর ৫৫ টাকায় উঠেছিলো। পরে যা কমে ৪০ টাকা বা এর নিচে নামে।

ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দামও। সবজিও এখন কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্য কোনো পণ্যের দামে তেমন হেরফের নেই। সার্বিকভাবে বাজারদর বেশ চড়া।

বাজারে ফার্মের মুরগির দুই ধরনের ডিম বিক্রি হয়। বাদামি ও সাদা। সাদা ডিম কিছুটা কম দামে কিনতে পারেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁঠালবাগান, মোহাম্মদপুর টাউন হল ও মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির সাদা ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকা দিয়েই কেনা যাচ্ছে। বাজারভেদে হাঁসের ডিমের হালি পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

ডিমের দাম গত মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার খামারমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর দ্রুত দাম কমে গিয়েছিলো। অবশ্য আগের পর্যায়ে নামেনি। বাজারে ডিমের দাম সাধারণত প্রতি হালি ৩২ থেকে ৩৬ টাকা।

মুরগির দামও গত মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ব্রয়লার মুরগির দর ওঠে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেশি। এ মাসের শুরুতে দরটি ১৫০ টাকায় নেমে যায়। এখন দর উঠেছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। ফার্মের সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।

বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি চক্র সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই চক্রকে থামাতে হবে। এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারকির বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এর আগেও সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। তখন সরকারের পদক্ষেপে দাম কমে যায়।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ডিম,চাল,সবজি,দাম,রাজধানী,বাজার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close