বেড়েছে চাল-আলুর দাম, কমেছে মুরগির
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে আলু ও চালের দাম। তবে দাম কমেছে সবধরণের মুরগির দাম। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সম্পর্কিত খবর
বাজারে শীতকালীন সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে বাধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি যথাক্রমে ৬০-৭০ ও ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
টমেটোর দাম কমেনি। আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি আজ ৪০-৬০ টাকা। করলা ৬০-৮০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বেড়েছে আলুর। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে আলু আরো ৫ টাকা কমে পাওয়া যেতো।
এদিকে পেঁয়াজের বাজার দর কেজি প্রতি ৫০-৫৫ টাকা। নতুন পেঁয়াজের দাম কম, ৩৫ টাকা কেজি। এসব বাজারে রসুনের কেজি আজ ১২০-১৩০ টাকা। আর এক কেজি আদা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা।
খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫-১৩০ টাকা। লাল চিনির কেজি ১৪০ টাকা।
বাজারে খোলা আটার কেজি ৬০-৬৫ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।
সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতল এ মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে ৯২৫ টাকায়। এসব বাজারে লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।
আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।
তবে সব ধরনের মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।
বাজারে এ সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে । প্রতি কেজি মোটা চাল গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকায়। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। বিআর-২৮ চালের প্রতি কেজি ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৭৮ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকায়। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম