বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার কবলে পড়বে
চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার কবলে পড়বে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরটি আরও কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের অর্থনীতিতে মন্থর গতির কারণে এমনটা দেখা যাবে বলে ধারণা আইএমএফের। বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা উল্লেখ করা হয়।
মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, উচ্চ সুদহার ও চীনে কোভিডের বিস্তার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চাপ প্রয়োগ করছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে সংকোচন এনেছে আইএমএফ।
সম্পর্কিত খবর
জর্জিভা বলেন, আমরা ধারণা করছি, বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার সম্মুখীন হবে। এমনকি যেসব দেশ মন্দার মুখোমুখি হয়নি, তারাও কয়েক লাখ মানুষের জন্য মন্দার সম্মুখীন হওয়ার মতো অনুভব করবে।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়ে আনে আইএমএফ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়ানো ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পূর্বাভাস কমিয়ে আনে আইএমএফ।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, নতুন বছরের শুরুতে অর্থনীতিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে চীন। যদিও দেশটি তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। এদিকে এ নীতি থেকে সরে আসার ফলে দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের মাত্রাও।
ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, সামনের কয়েক মাস চীনের জন্য অর্থনৈতিকভাবে বেশ কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে, যা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে। পাশাপাশি এমন পরিস্থিতি অঞ্চলটির সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক ধারা টেনে আনবে।