• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিদ্যুৎ খাতে বাড়তি ভর্তুকির দায় জনগণকে নিতে হচ্ছে: সিপিডি

প্রকাশ:  ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও প্রক্রিয়াগত দুর্বলতার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ছে, আর বাড়তি ভর্তুকির দায় নিতে হচ্ছে জনগণকে। সোমবার (২৮ মার্চ) সিপিডির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: সিপিডির সুপারিশমালা’ সংলাপে গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ কথা বলেন।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভর্তুকির যে সমন্বয়, তা সঠিক পদক্ষেপ নয়। বিদ্যুৎ ও জ্বলানি খাতে যে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি তৈরি হয়েছে এবং এই ক্যাপাসিটির জন্য যে বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে, তার দায় ভোক্তার ঘাড়ে চাপানো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বরং এই বাড়তি ক্যাপাসিটির জন্য যে বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে, তার কারণে সরকারকে ভর্তুকির দায় মেটাতে হচ্ছে। এই ক্যাপাসিটি চার্জের মতো কার্যক্রম থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আগামীতে নতুন প্রকল্প নেওয়া ও পুরাতন প্রকল্প নবায়নের ক্ষেত্রে ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে’ ধরনের একটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে ভর্তুকির দায় থেকে বিদ্যুৎ খাত বের হয়ে আসতে পারবে।

জ্বালানি খাতে যে উচ্চমূল্য আছে, তা বাজার নির্ভর হলে এই মুহূর্তে মূল্য সমন্বয়ের সুযোগ ছিলো উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, আমাদের হিসাবে বলছে, এই মুহূর্তে বিপিসি লাভের ভেতরে রয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা ভোক্তাকে দিতে পারছি না। সেই জায়গা থেকে বাজারভিত্তিক মূল্য কাঠামোতে যাওয়া এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যে অদক্ষতা, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, দুর্নীতির সংশ্লেষের কথা বলা হচ্ছে—এগুলোর বিরুদ্ধে আগামীতে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এটা না করে ভোক্তার ওপর বাড়তি খরচের দায় চাপিয়ে দেওয়া অবস্থা থেকে সরে আসার প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, এক বছর আগেও অর্থনীতির সমস্যা বলতে আমরা সামষ্টিক বা ব্যষ্টিক পর্যায়ের ঝুঁকির কথা বলেছি। এটি এখন ব্যক্তি পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। ফলে এই বাড়তি ঝুকি এ সময়ের বড় সমস্যা। এটা আরও বিস্তৃত ও গভীর হয়েছে। এটা উত্তরোত্তর বাড়বে এবং শুধু সামষ্টিক বা ব্যস্টিক পর্যায়ে থাকবে না, ব্যক্তি পর্যায়ে বিস্তৃত হবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাজার হিসাবে যে ভূমিকা পালন করার দরকার তার প্রক্রিয়া দ্রুত দুর্বল হচ্ছে। কোনো মেকানিজমই কাজ করছে না। যেটা জটিল হচ্ছে, বড়রা ছোট্টদের খেয়ে ফেলছে। বাজারে ক্রমশই ছোটরা আরো ছোট্ট হচ্ছে। বড়দের প্রভাব এখন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাড়ছে।

সরকার আইএমএফের শর্তাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শর্ত ও সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য যথেষ্ট হবে না। এ ক্ষেত্রে আইএমএফ-এর শর্তের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন রকম কার্যক্রম নেওয়ার প্রয়োজন।

বড় বড় খাতগুলোতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিশেষ ইনক্রিমেন্টের সুপারিশ করে উল্লেখ করে সিপিডির এই গবেষক বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এক বছরের ব্যবধানে ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। এতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার কষ্ট বেড়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সিপিডি,জনগণ,ভর্তুকি,বিদ্যুৎ,ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম,পরিচালক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close