• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে আলু আমদানির ঘোষণা

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৪ | আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আলুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। শুধু তাই নয়, দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার অভিযানও শুরু হয়। তারপরও আলুর দাম না কমে বরং দিন দিন বাড়ছে। যে কারণে আলু আমদানির চূড়ান্ত চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। জানা গেছে, দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ঘোষণা আসতে পারে আলু আমদানির।

ভারতের কমোডিটি অনলাইনের তথ্যে, বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি আলুর গড় দাম ১৪ দশমিক ৯৭ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ২০ টাকারও কম, যা পরিবহন খরচসহ ২৫ টাকার মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে আলুর দামের অর্ধেক।

সরকারের কয়েকটি সংস্থা দাবি, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা। এ আলু বাজারে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন। পাইকারি পর্যায়ে আলুর দাম সব খরচ মিলে কোনোভাবে ২৪ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়, যা খুচরায় এসে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হওয়ার কথা।

এখনো দেশের ৩৬৫টি হিমাগারে ২০ লাখ ৯২ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করা রয়েছে। কৃষকের হাতের আলু শেষ হওয়ার পর জুন থেকে হিমাগারের আলু বাজারে সরবরাহ আসতে থাকে। কিন্তু এ সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না। কৃত্রিমভাবে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আলুর দাম বাড়াচ্ছেন। এর মধ্যে হিমাগার মালিকরা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বাজারে ছাড়ছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে তারা যে আলু রাখেন, সেগুলো প্রতি বছর মে মাসের পর হিমাগার থেকে বের করেন। এবার আলুর সংকট থাকায় এপ্রিল মাস থেকেই আলু বের করা শুরু হয়েছে। এ জন্য হিমাগারে আলুর সংকট আছে। মজুত রাখা আলু ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

মজুত করা আলু শেষ হয়ে যাওয়ার পর কৃষকদের কাছ থেকে চড়া দরে আলু কিনে রেখেছেন। এখন সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে গেলে কেজিতে ৮ থেকে ৯ টাকা করে লোকসান গুনতে হবে। তাই বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করতে পারছেন না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দেখছি, দু-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানি করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এখন বিদেশে। গতকাল রাতেও (রোববার) মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা আরও দেখছি, আমদানির সিদ্ধান্ত নেবো।

আলু আমদানির সিদ্ধান্ত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর হবে মন্তব্য করে আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও ফেরদৌস বায়োটেকের এমডি ফেরদৌসী বেগম বলেন, আলু আমদানির সিদ্ধান্ত ‘মাথাব্যথার কারণে মাথাই কেটে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত’ হবে। এতে দেশে এখনো অবিক্রীত ২০ লাখ টন আলু পচে যাবে। ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতি হবে। বাড়তি আলু কোথায় যাবে?

‘এখানে কিছু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট রয়েছে। সেটা চিহ্নিত হোক। সেজন্য সব ব্যবসায়ীর ক্ষতি করা উচিত হবে না। সরকারের উচিত হিমাগার থেকে নির্ধারিত দামে আলু ছাড়ের ব্যবস্থা করা। সেটা তারা করতে পারছে না। ব্যর্থ হয়ে এখন আমদানি করতে চাচ্ছে। এটা অসৎ উদ্দেশ্য।’

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ঘোষণা,আমদানি,আলু,নিয়ন্ত্রণ,দাম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close