• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন: নয় ব্যাংককে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে নয়টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের অভিযোগের ফলেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সভায় জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য নজরদারি জোরদার করা ও বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।’’

তিনি বলেন, ‘‘বিমানবন্দরে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে নয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের তাদের মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।’’

ব্যাংকগুলোর নির্দেশে আরও বলা হয়, এই বুথগুলো সিসিটিভি নজরদারির অধীনে কাজ করবে। ক্যামেরা অকার্যকর বলে প্রমাণিত হলে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন স্থগিত করা হবে।

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে বিমানবন্দর থেকে কর্মকর্তাদের বদলি জটিল প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, চেক-এন্ড-ব্যালেন্স পদ্ধতি আরও নিচ্ছিদ্র করতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের একবারে এক বছরের বেশি সময় ধরে নিয়োগ করা উচিত নয়।

সম্প্রতি বিমানবন্দরে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘‘বিমানবন্দর এলাকায় জনতা, সোনালী, অগ্রণী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, প্রবাসী কল্যাণ ও যমুনা ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বুথ অবৈধ কেনাবেচায় জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে।’’

মাহবুব বলেন, ‘‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও একটি সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযান চালানো হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জারদের একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের সন্ধান মেলে।’’

দুদকের মতে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মী ও বিমান যাত্রীদের আনা নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স সরকারি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে জাতীয় রিজার্ভে জমা করার কথা।

নিয়ম অনুযায়ী, ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এর বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন, যা মানি লন্ডারিং।

অর্থনীতি,বাংলাদেশ ব্যাংক,শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close