• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৫,০০০ কোটি টাকা

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

২০২৩ খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

তথ্য বলছে, ২০২১ সালে ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১০৩,২৭৩ কোটি টাকা। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে তা বেড়ে হয় ১২০,৬৫৬ কোটি টাকা। যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫,৬৩৩ কোটি টাকায়।

এরমধ্যে ১২৬,৭৬২ কোটি টাকা বা ৮৭% খারাপ ঋণে পরিণত হয়েছে, যা পুনরুদ্ধারযোগ্য নয় বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থতা ও এ খাতের ব্যাপক অনিয়ম মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রক ভূমিকা পালন না করতে পারায় সমালোচিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে খেলাপি ঋণ অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ১৩,৭৪০ কোটি টাকা থেকে কমে ১৪৫,৬৩৩ কোটি টাকা হয়েছে। যা ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১৫৫,৩৯৭ কোটি টাকা থেকে বেড়েছে।

২০২৩ সালের জুন মাসে খেলাপি ঋণ ১৫৬,০৩৯ কোটি টাকার রেকর্ড সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে বিতরণ করা মোট ঋণ ছিল ১,৬১৭,৬৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯% শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।

ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০,৯৮১ কোটি টাকা।

ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫,৭৮১ কোটি টাকা।

ডিসেম্বরে বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৩,২০০ কোটি টাকা এবং ৫,৬৬৯ কোটি টাকা।

২০২০ ও ২০২১ সালে, ঋণগ্রহীতারা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এক বছরের স্থগিতাদেশসহ শিথিল পরিশোধের শর্তাবলী উপভোগ পেয়েছিলেন।

২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি ছিল। যদিও ব্যাংকগুলোকে বকেয়া ঋণের মাত্র ১৫% পরিশোধের বিপরীতে ঋণ কমাতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা দেশের নিম্নগামী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন ঋণ পরিশোধের শর্ত শিথিল করার জন্য খেলাপি ঋণের বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।

ব্যাংকাররা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, বিদ্যমান নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি ও ঋণগ্রহীতাদের পরিশোধ এড়ানোর প্রবণতার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে।

অর্থনীতি,বাংলাদেশ ব্যাংক,টাকা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close