• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি ক্যান্সার হচ্ছে

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি মৃত্যুর দিক থেকেও পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যাই বেশি। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এদের অনেকে কিশোরী বয়স থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।

'এপিডেমিওলজি অফ ক্যান্সারস অ্যাট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ): অ্যানালাইসিস অফ হসপিটাল ডেটা' শীর্ষক দুটি গবেষণায় সম্প্রতি এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে আসা ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশই নারী এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২৫ দশমিক ২ শতাংশ শিশু। আবার পুরুষের তুলনায় নারীদের কম বয়সে ক্যান্সার আক্রান্তের হারও বেশি।

পূর্ণ বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০ দশমিক ২ শতাংশ, প্রটেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ৯ দশমিক ৯ শতাংশ এবং মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে নরীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ, জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত ২১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মুখগহ্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার পুরুষের ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ।

হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি নিয়ে ১৬৫৬ জনের ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক ১২৩৮ জন এবং শিশু ৪১৮ জন। এখানে পুরুষদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, লিউকেমিয়ায় আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, লিম্ফোমায় আক্রান্তের হার ৯ শতাংশ। নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ১ শতাংশ, থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, জরায়ুমুখে ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ১২ দশমিক ২ শতাংশ।

ছেলে শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়ায় আক্রান্তের হার ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং লিম্ফোমায় আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। কন্যাশিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়া ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ।

গবেষণার ফলাফলে আরও দেখা গেছে, নারীরা ১৫ বছর বয়স থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৪৬ বছরের মধ্যে বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এদিক থেকে আবার পুরুষের বেশির ভাগই ২০ বছরের পরথেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, আর ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, নারীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন। এখন মেয়েরা অনেক বেশি পথে ঘাটে বের হচ্ছেন, কর্মজীবী হচ্ছেন অনেকেই, সিগারেট বা মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তারা এখন অনেকবেশি পথে ঘাটে ধোঁয়া ও ধুলার মধ্যে কাজ করছেন। বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, অনিয়মিত খাবার বা ফ্যাটি খাবার খাওয়াও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।


পূর্বপশ্চিম/এসকে

ক্যান্সার,নারী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close