• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিজিএমইএ ভবন অপসারণ শুরু, সিলগালা বিকেল ৫টায়

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ভবনটিতে থাকা যাবতীয় মালামাল আজ (মঙ্গলবার ) বিকেল পাঁচটার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করতে সময় বেঁধে দিয়েছে রাজউক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময়ের মধ্যে কেউ মালামাল সরাতে ব্যর্থ হলে সিলগালা করে দেওয়া হবে বিজিএমইএ ভবন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান।

সম্পর্কিত খবর

    খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, আইনের ভিত্তিতে আমরা বিজিএমইএ ভবনের অফিস অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা যে ভবন অপসারণ শুরু করেছি এটাও ভবন ভাঙার অংশ। তাছাড় এখানে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে এগুলো শেষ হলেই আমরা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এই বড় ভবনের নানা বিষয় দেখতে হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো ব্যাংক আছে সেটাও দেখতে হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারবো এ কাজে মূল সহযোগী হবে চায়না এক্সপার্টরা।

    তিনি বলেন, ভবনে অফিস অপসারণের কাজ চলছে। বার বার তাদের সময় দেওয়া সত্ত্বেও নানা অজুহাতে এখান থেকে অফিস সরানো হয়নি। আমরা মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম মালামাল সরিয়ে নিতে যা ১২টায় শেষ হয়। তারা অনেকটা কাজ সম্পন্ন করেছে। পরে দ্বিতীয় দফা সময় দেওয়া হয়। এখনও কাজ শেষ না হওয়ায় বিকেল ৫টা পর্য়ন্ত সময় চায় আমরা সম্মতি দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে তারা তাদের অফিস অপসারণে ব্যর্থ হলে বিকেল ৫টার পরই আমরা বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দেওয়া হবে।

    হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক রায়হান ফেরদৌস বলেন, মালামাল সরানোর পর আমরা ইউলিটি সেবা গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছি। এরপর আমরা ভবন ভাঙার কাজে হাত দেবো।

    তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ ভবনটি অপসারণের কাজ করা হবে। এর আগে র‌্যাংগস ভবন ভাঙতে গিয়ে প্রাণহানি ঘটে। তবে এ ভবন ভাঙতে ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এ কাজে সহায়তা করবে চায়না এক্সপার্টরা। বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেওয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।

    এরপর চলতি মাসে (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন। সেখানে ১৩তলা বিশিষ্ট দু’টি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ওই ভবনের দু’টি ফ্লোরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ভবনের পুরো কাজ শেষ হবে।

    পিবিডি-এনই

    বিজিএমইএ ভবন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close