• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রংপুরে তিনদলের জেতার লড়াই তুঙ্গে

প্রকাশ:  ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৪ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে জাতীয় পার্টি জিততে চায় লাখ ভোটের ব্যবধানে। আওয়ামী লীগ নগরভবন দখলে রাখতে মরিয়া। বিএনপি জনমত যাচাইয়ের পরীক্ষায় অবতীর্ণ। ভোটযুদ্ধ এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। শেষমুহূর্তে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি মরণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সোমবার রংপুর গেছেন। এর আগে থেকে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডেয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সেখানে পড়ে আছেন। দলের এমপি মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অসংখ্য নেতাকর্মী এখন রংপুরে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে তাই সিটি কর্পোরশেন এলাকার বাইরে রিসোর্ট হোটেলে এখন ঠাই নাই ঠাই নাই অবস্থা।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পূর্বপশ্চিমকে বলেছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন ইনশাল্লাহ। তারপক্ষে এখন গণজোয়ার বইছে। জাতীয় পার্টির ২০ হাজার কর্মী কেন্দ্র পাহারার দায়িত্ব নিচ্ছে। তিনি বলেন, রংপুর এরশাদের রাজনীতির দূর্গ। তার প্রতি মানুষের আবেগ ভালোবাসা ও সমর্থন এই নির্বাচনে উজার করে দিয়ে দূর্গ ফিরিয়ে দিচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি বলেন, বিগত মেয়র নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি জিততো যদি এভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে একক প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামতো। সেইবার জাতীয় পার্টির ভোট করেনি তবুও পার্টির জনপ্রিয় প্রার্থী মোস্তফা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৮৭ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সকল স্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তার সঙ্গে এরশাদের ইমেজ ও জাতীয় পার্টির শক্তি যুক্ত হওয়ায় তারপক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। আমরা বিজয়ী হয়ে ঢাকায় ফিরছি।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী দলের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে বিজয়ী করতে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। যাচ্ছেন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আহমেদ হোসেন পূর্বপশ্চিমকে বলেছেন, পাঁচ বছর মেয়র থাকায় মানুষের অনেক কথা থাকতেই পারে কিন্তু জনসমর্থন এখন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দিকে। আমরা নিশ্চিত প্রার্থীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু পাঁচ বছর মেয়রই ছিলেন না, তিনি এখানকার সংসদ সদস্যও ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে আছেন মানুষের সুখে দুঃখে পাশে ছিলেন। ইনশাল্লাহ বিজয় তার সুনিশ্চিত।

    বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্ধীতায় উঠে এসেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ভোটারদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রংপুর গিয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তাদের প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে। ফখরুল বলেছেন, তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করে জনগণ সরকারকে আরেক দফা বার্তা দেবে যে এই সরকারের সঙ্গে জনসমর্থন নেই। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে এই নির্বাচনে ধানের শীষকে ভোট দিয়ে মানুষ ব্যালট যুদ্ধ ঘোষণা করবে।

    গোটা দেশের দৃষ্টি এখন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য করতে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি দল ভোটযুদ্ধে জিততে না পারলে পরাজয়ও মেনে নিতে রাজি। কিন্তু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নারাজ। আর একারণেই পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের ভোটযুদ্ধে ব্যালটের শক্তি বড় হয়ে উঠেছে। মানুষের মন জয় করতে সকল দল ও প্রার্থীরা ঘরে ঘরে যাচ্ছেন দোয়া চাইছেন ভোট চাইছেন। ভোটারদের কদর অনেকগুন বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে জাতীয় পার্টি লাঙল ও বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ নিয়ে শেষমুহূর্তের প্রচারণায় সকল বিশ্রামকে হারাম করে দিয়েছেন। তাদের কর্মী সমর্থকরাও জয়ের জন্য মরণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ। দেশজুড়ে এক প্রশ্ন, রংপুরের শেষ হাসি কে হাসবে? শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া নাকি এরশাদ?

    কেকে এদের কাছে একালের রাজনীতিকরা কি পাঠ নেবেন? হ্যালো মিনিস্টার, পদত্যাগ না চাই জবাবদিহিতা চাইতেই পারি জাতীয় পার্টি একলাখ ভোটে জিতবে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close