• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‌‘কারাগারে আদালত বেআইনি, প্রজ্ঞাপন বাতিল না হলে আইনি ব্যবস্থা’

প্রকাশ:  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:১৪ | আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগারে আদালত বসানোর প্রজ্ঞাপন আইনসম্মত নয় জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতি অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। সমিতির সভাপতি এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, বেআইনি এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল না করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন; যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক আদালত বলতে একটি উন্মুক্ত আদালতের কথা বলা হয়েছে। যেখানে যে কোনো পাবলিকের সাধারণভাবে প্রবেশাধিকার থাকে। কিন্তু কারাগারের যে ৭ নম্বর কক্ষটিকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক কোনো উন্মুক্ত আদালত নয় বা হতে পারে না।

তিনি বলেন, ওই আদালতে পাবলিক তো দূরের কথা খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামিদের নিয়োজিত আইনজীবী, আসামিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা দলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার নেতা কর্মীদের প্রবেশ এবং আদালতের কার্যক্রম দেখা বা শ্রবণ করার কোনো সুযোগ নাই।

জয়নুল আবেদীন বলেন, কারা অভ্যন্তরে গঠিত আদালতটি মোটেই উন্মুক্ত আদালত না হওয়ায় এবং সেখানে পাবলিক ট্রায়াল হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় এরূপ বেআইনি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম চলার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, বকশীবাজার আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে পূর্বে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শেষে রায় দেওয়া হয়েছে। তখন সরকার নিরাপত্তার অযুহাত দেখাননি। সেখানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো, বড়পুকুরিয়া ইত্যাদি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, এছাড়াও জাতীয় পার্টির হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিচারকার্য ঐ আদালতেই চলছে। এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে কিংবা নিরাপত্তাজনিত কোনও কারণ দেখিয়ে ঐ সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার বিচারকার্য পরিচালনার জন্যে জেলখানার অভ্যন্তরে কোনও আদালত স্থাপন করা হয়নি। তাছাড়া ঢাকা জজ কোর্ট এলাকা অত্যন্ত জনবহুল এবং সেখানে বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিচারকার্য চলে। কিন্তু নিরাপত্তার অযুহাত দেখানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মূহুর্তে জনগণের দাবি ও দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অপকৌশল হিসেবে এসব করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে সাজাপ্রাপ্ত মামলাসহ ৩৪টি মামলায় জামিন প্রাপ্ত হয়েছেন। আর ২টি মামলায়ও তিনি অচিরেই জামিন পাবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

/এসএম

জয়নুল আবেদীন,সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close