• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ব্যাপক পরিবর্তন থাকছে এবারের বইমেলায়

প্রকাশ:  ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৫ | আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

বাঙালির প্রাণের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা। অতীতের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই মাসব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বড় ধরণের পরিবর্তন হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সীমানা ও অবকাঠামোর। উদ্যানের অংশ এবার বিস্তৃত হচ্ছে বিজয় স্তম্ভ, গ্লাস টাওয়ারসহ শিখা চিরন্তন পর্যন্ত। এছাড়া মেলায় থাকছে পাঠকদের জন্য বসার স্থান, খাবার ও আড্ডা দেবার জায়গা। প্রথমবারেরমত মেলা প্রাঙ্গনের চূড়ান্ত নকশা করেছেন একজন স্থপতি।

বাংলা একাডেমিতে পুরোদমে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি। আগের যে কোনো বারের চাইতে এবারের বই মেলা আরো দৃষ্টিনন্দন ও পাঠকবান্ধব করে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন নতুন মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

এবারই প্রথম মেলার স্টল ও অবকাঠামোগত নকশা করেছেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর । এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ারকে কেন্দ্র করে বিন্যস্ত হচ্ছে মেলার এবারের নকশা। রাতের বেলা স্বাধীনতা স্তম্ভের আলো যাতে পুরো মেলায় ছড়িয়ে পড়ে সেইভাবে সাজানো হচ্ছে স্টল।

এবারের মেলার মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে 'বিজয়'। পহেলা ফ্রেুব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন।

মেলায় ৬ শতাধিক স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৪২টি। জিপিএসের মাধ্যমে স্টলের অবস্থান জানার ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া, গোটা মাস জুড়ে মেলায় প্রতিদিন থাকছে 'লেখক বলছি' নামের একটি নতুন আয়োজন।

বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবারের মেলার মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিজয় : ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ এবং নবপর্যায়’। আগামী ১ ফ্রেুব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলা চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস।

তিনি জানান,এবারের মেলার মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে বাঙালির বিজয়কে উপলক্ষ্য করে। বিজয়ের পঞ্চাশ বছরকে সামনে রেখে এই বিয়ষকে মূল থিম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।মেলার মূল মঞ্চে এ বিষয়কে ধারণ করে ধারাবাহিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা অংশ নেবেন।

মেলায় অংশ নেয়ার জন্য দেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন মানের মোট ৬ শতাধিক স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মানের মোট ৪২টি প্যাভিলিয়ন। বড় প্যাভিলিয়ন ১০টি, ৬ ইউনিটের প্যাভিলিয়ন ১৩টি এবং ৪ ইউনিটের প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে ১৯টি। এ সব স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অন্যদিকে একাডেমির ভেতরে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ১০০ স্টল থাকবে।

বাংলা একাডেমি পরিদর্শনকালে আজ দেখা যায়, একাডেমির ভেতরে স্টলের কাঠামো ও মূলমঞ্চের কাজ অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল স্থাপনের উপকরণ এনে রাখা হয়েছে সেখানে একাডেমির লোকজন স্টল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ করছেন সারাক্ষণ।

পিডিবি/জিএম

বাংলা একাডেমি,১ ফেব্রুয়ারি,একুশে বইমেলা,ভাষার মাস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close