• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র

‘রাবির শিক্ষক হত্যার পর গুলশান হামলায় অংশ নেয় জঙ্গি শরিফুল’

প্রকাশ:  ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম আসামি জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ (২৭) রাজশাহী বিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যয়নরত অবস্থায় সহপাঠী শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ায় । এরপর ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সংঘবদ্ধ হয়ে রাবির ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে হত্যা করে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এর কিছুদিন পরই ওই বছর গুলশানের হামলার পরিকল্পনায় প্রধান ভূমিকা ছিল তার।

শনিবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান। এর আগে শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে শফিকুলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫।

মুফতি মাহমুদ বলেন, শরিফুল তার আমিরের নির্দেশে রাবির অধ্যাপককে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার তিনমাস পর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা করে। ওই হামলার পর সে সুকৌশলে ফের আত্মগোপনে চলে যায়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সে প্রকাশ্যে এসে আবারো জঙ্গিদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য ছিল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। কিন্তু তার এসব পরিকল্পনা র‌্যাব একে একে ভেঙ্গে দিতে শুরু করলেও সে খুব চালাক হওয়ায় নিজেকে এতোদিন আত্মগোপনে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লো। শরিফুল রাবি অধ্যাপক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বলে জানায় র‌্যাব।

তিনি আরও বলেন, শরিফুল অধ্যাপককে হত্যার পর আত্মগোপনে থেকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার অপর জঙ্গি নেতা রিপন সহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল হলি আর্টিজান হামলার জন্য। তবে সেসব টাকা কারা দিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানান নি র‌্যাব কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শরিফুলের জন্ম রাজশাহী জেলার বাগমারা এলাকায়। সে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিষয় নিয়ে অনার্সে ভর্তি হয় ২০১০-১১ সেসশনে। এরপর সেখানে তিন বছর পড়াশুনার পর সে জঙ্গিবাদে জড়ায় তার অপর সহপাঠী শোভনে মাধ্যমে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় জঙ্গি নেতা শরীফুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন রাজশাহীর একটি আদালত।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জনসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। পর দিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ছয় জন নিহত হয়। আইএস এর পক্ষ থেকে এদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের সৈনিক বলে দাবি করে, তারা হামলার দায় নেয়।হামলার ওই ঘটনায় মাস্টারমাইন্ডসহ ২৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পিবিডি/জিএম

জঙ্গি,গুলশানে হলি আর্টিজান,র‌্যাব
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close