মানবতাবিরোধী অপরাধ: যেকোনো দিন নেত্রকোনার মজিদসহ ৫ জনের রায়
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার মাওলানা আব্দুল মজিদসহ পাচঁ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোনো দিন দেওয়া হবে মর্মে সিএভি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি সিএভি করেন। পাচঁ আসামিই পলাতক রয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
এ মামলায় প্রথমে ছয়জন আসামি ছিলেন। তার মধ্যে একমাত্র আসামি আব্দুর রহমান (৭০) কিছুদিন আগে মারা যায়। ফলে তাকে মামলার আসামি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আব্দুল মজিদ ছাড়াও বাকি আসামি হলেন মো. আব্দুল খালেক তালুকদার (৬৭) , মো. কবির খান (৭০), আব্দুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন (৭০)।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল জানান, এ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় দেওয়ার জন্য মামলাটি সিএভি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের অপরাধ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী তামিম জানান, প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের রাজাকার প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে আব্দুল খালেক তালুকদার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি রাজাকার ছিলেন না এ কথা স্থানীয় ১৩৮জন মুক্তিযোদ্ধারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিহিংসাবশত তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এ মামলায় পলাতক পাঁচ আসামির জন্য অ্যাডভোকেট গাজী তানিমকে আইনজীবী নিয়োগ করেন।
ওই বছরের ২২ মে ছয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। ১৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আটজন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর হত্যা, তিনটি বাড়ির মালামাল লুট, আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগ।
পিবিডি/জিএম