• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

লতিফ সিদ্দিকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশ:  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রানীনগর বাজারে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) বেআইনিভাবে জমি বিক্রি করে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কমিশন বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় এই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বগুড়ার আদমদিঘী থানায় লতিফ সিদ্দিকী ও জাহানারা রশীদ নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও পরস্পর যোগসাজশে সরকারি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার তদন্ত করেন বাদী আমিনুল ইসলাম নিজেই।

দুদক সূত্র আরও জানায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রানীনগর বাজারে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের পাট ক্রয় কেন্দ্র ছিল। ব্রিটিশ সরকারের সময় ২ একর ৩৮ শতাংশের জমিটি সুরুজ মল আগরওয়ালা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে হুকুম দখল করা হয়েছিল। বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ ২০১০ সালের ১৩ মে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে জমিটি তিন বছরের জন্য লিজ নেন। এর জন্য বছরে লিজ মানি ধার্য ছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। জাহানারা রশিদ প্রথম বছরের লিজ মানি পরিশোধ না করেই ওই জমি কেনার জন্য ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।

সরকারি জমি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিতে বা বিক্রি করতে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের নিয়ম থাকলেও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তা করেননি বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। তিনি তার পরিচিত জাহানারা রশিদের কাছে দরপত্র ছাড়াই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। লতিফ সিদ্দিকীর একক সিদ্ধান্তে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকা দামের জমিটি মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা ১১ পয়সা আর্থিক ক্ষতি হয় বলে এজাহারে বলা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এতে সাবেক মন্ত্রী ও জাহানারা রশিদের পরস্পর যোগসাজশ ছিল। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণ হয়েছে দুদক।

পিবিডি/জিএম

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী,দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক),বিজেএমসি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close