২০১৮ সালে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দেড় লাখ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর (২০১৮) বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮১ জন, যাদের মধ্যে মরণব্যাধী এই রোগে মারা গেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৩৭ জন।
রোববার (৩ মার্চ) সংসদ অধিবেশনে এম আবদুল লতিফের উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সম্পর্কিত খবর
তিনি জানান, তামাক, দূষণ, অনিরাপদ খাদ্যাভাসের কারণে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে (জিএটিএস), ২০০৯ এবং জিএটিএস, ২০১৭ এর তুলনামূলক তথ্য চিত্রে দেখা যায়, তামাকের ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার রোগীরে সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। কেননা ২০০৯ সালে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৩.৩ শতাংশ, যা গত ২০১৭ সালের চেয়ে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩ শতাংশ।
তামাকের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর আওতায় পাবলিক প্রেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নোটিশ প্রদর্শন, সিনেমা হল ও টেলিভিশনে সিনেমা প্রদর্শনের আগে ও পরে এ বিষয়ে বার্তা প্রদর্শন করা হচ্ছে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা উত্তরকালে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল মাত্র ৭.৭ শতাংশ। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫৫.৮ শতাংশ এবং বর্তমানে এ সংখ্যা ৬২.২ শতাংশ।
পিবিডি/এআইএস