আইন ভঙ্গ করে জনদুর্ভোগ বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ট্রাফিক আইন ভেঙে, কেউ যদি জনগণের দুর্ভোগের সৃষ্টি করে। সে যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়ে (১৭-২৩) ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউলসহ ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী, আমলা, আইনজীবীসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো। আপনারা ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। যার ফলে রাস্তা-ঘাট কাটাছেঁড়া হয়েছে। আমরা এ কাটাছেঁড়ার দুর্ভোগের কবল থেকে, মানুষদের বাঁচাতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
গাড়ির চালকদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আমি চালক ভাইদের অনুরোধ করবো। আপনারা বেশি গতিতে গাড়ি চালাবেন না।একে অন্যের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়বেন না। তাছাড়া কোনো ক্রমেই মোবাইল ফোন কানে নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। আমরা যদি কাউকে এই অবস্থা দেখতে পাই, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গাড়ির মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পরিবহনের মালিক যারা আছেন। তাদের বলবো, আপনারা সর্বপ্রথম গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করুন। তারপর ফিটনেস যাচাই করে গাড়ি রাস্তায় নামান। আর চালকদের চুক্তি ভিত্তিতে না, মাসিক বেতন দিন। তাহলে দেখবেন ঝুঁকির পরিমাণ কমে আসবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, রাজধানীর গুলশান এলাকার চক্রাকার (সার্কুলার) বাসের মতো ধানমন্ডি, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকায়ও চক্রাকার বাস চালু করা হবে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে এই কার্যক্রম চালু হবে বলে
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও বিআরটিএ’র সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বিআরটিএ বাসগুলো চালু করবে। এই চক্রাকার বাস চালু হলে যানজট কিছুটা কমে আসবে। কারণ, তখন মতিঝিলের বাস উত্তরা বা ধানমন্ডি যাবে না।
পিবিডি/জিএম