তাহলে মুরাদের জন্যই এমন ব্যবস্থা?
শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের অভিযোগ এনে স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাসায় সার্বক্ষণিক নজর রাখছে পুলিশ। এমনকি মুরাদ বাসায় ফিরলেই পুলিশকে ফোন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া তার বাসার আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) ধানমন্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী বলেন, জিডির পর আমরা মুরাদ হাসানের স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নজর রাখছে পুলিশ। তাদের বাসার আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। আমরা ওনার (ডা. জাহানারা এহসান) সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। উনি সমস্যা বোধ করলে বা নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করলে আমাদের (থানা) জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো। জিডির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসানকে।
সম্পর্কিত খবর
ওসি মো. ইকরাম আলী আরও বলেন, আজ জিডির তদন্ত চেয়ে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর তদন্ত শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তদন্তের প্রয়োজনে বিবাদী ডা. মুরাদ হাসানকেও তলব করা হতে পারে। উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসানকে এর তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা.জাহানারা এহসান প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের অভিযোগ করেন। এরপর বিকেলে ডা. মুরাদের স্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন।
সেই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে তিনি (ডা. মুরাদ) কারণে অকারণে আমাকে এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করিয়া আসিতেছে এবং হত্যার হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। আজ ০৬/০১/২০২২ তারিখ সময় অনুমান ০২:৪৫ ঘটিকার দিকে পূর্বের ন্যায় আমাকে এবং আমার সন্তানদের গালিগালাজ করে এবং মারধর করার জন্য উদ্যত হইলে আমি ৯৯৯-এ কল করিলে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা হইতে বাহির হইয়া যায়। আমি এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী আমাকে এবং আমার সন্তানদের যে কোনো সময়ে ক্ষতি সাধন করিতে পারে।’
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার নাতি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বিতর্কের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন মুরাদ হাসান।
পিপি/জেআর