• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রানির জায়গায় গিনেস বুকে নাম ওঠেছে চারুর

প্রকাশ:  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাভারের একটি খামারে বেড়ে ওঠা ‘রানি’কে বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু হিসেবে গিনেস রেকর্ড বুকে নাম ওঠানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি মেলার আগেই রানির মৃত্যু হয়। সেই জায়গাটি দখল করে নিয়েছে ‘চারু’ নামের আরেকটি গরু।

বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু হিসেবে গিনেস বুকে নাম ওঠেছে চারুর। রানির মতো সাভারের আশুলিয়ার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের খামারেই বেড়ে উঠেছে চারুও।

সম্পর্কিত খবর

    বুধবার (২৬ জানুয়ারি) শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সুফিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) গিনেস কর্তৃপক্ষ চারুকে বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির জীবিত গরুর স্বীকৃতি দিয়ে ই-মেইল পাঠিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চারুকে খর্বাকৃতির গরুর স্বীকৃতি দিতে খামরটির পক্ষ থেকে গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়।

    খামার কতৃপক্ষ জানিয়েছে, চারু নামের গরুটির জন্ম ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। গরুটির বয়স এখন আড়াই বছর। উচ্চতা ২৩ দশমিক ৫০ ইঞ্চি, লম্বায় ২৭ ইঞ্চি ও ওজন ৩৯ কেজি। ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গিনেস বুকে মৃত গরু হিসেবে রেকর্ড গড়া রাণীর উচ্চতা ছিলো ২০ ইঞ্চি, লম্বা ২৪ ইঞ্চি ও ওজন ২৬ কেজি।

    চারুকে দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা খামারের কর্মচারী মো. মামুন বলেন, রানি মারা যাওয়ার পর প্রায় ছয় মাস আগে চারুকে আমরা সিলেট থেকে সংগ্রহ করি। যেভাবে রানিকে সংগ্রহ করা হয়েছে সেভাবেই চারুকে আনা হয়েছে। এরপর থেকে এই খামারে চারুকে প্রাকৃতিক খোলামেলা পরিবেশে পালন করছি। আগে যেহেতু রানি মারা গেছে তাই চারুর প্রতি একটু বেশি যত্ন নেওয়া হয়। গিনেস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা একাধিকবার চারুর শরীরের গঠনের (মাপ) ছবি এবং ভিডিও তাদেরকে পাঠিয়েছি।

    শেকড় এগ্রো খামারের সিইও কাজী সুফিয়ান বলেন, এর আগে আমাদের খর্বাকৃতির গরু রানিকে নিয়ে সারাদেশে আলোচনা তৈরি হয়েছিল। অনেকেই রানির মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। আমরা অনেক টাকায় বিক্রির অফার পেয়েও কেনো বিক্রি করিনি সেটা নিয়ে অনেকে বিদ্রূপ করেছেন। কেউ কেউ আমাদের গাফিলতির কথা বলে আমাদের বকাও দিয়েছেন। ওই সময়টায় ভীষণ খারাপ লাগলেও আমরা দাঁতে দাঁত চেপে পরিস্থিতি মেনে নিয়েছিলাম। আসলে রানির প্রতি সবার ভালোবাসাটা আমরা বুঝতাম।

    তিনি বলেন, রানির মৃত্যুর পর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করে আমাদের ই-মেইল পাঠায়। তারা জানান, রানির সম্মানার্থে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে আরও একটা ক্যাটাগরি তারা চালু করবেন। যারা শিকড় অ্যাগ্রো সম্পর্কে জানেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের সুদক্ষ এবং নির্ভরশীল কর্মীবাহিনী প্রতিদিনই দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ান। রানির জীবদ্দশায়ই আমাদের সংগ্রহশালায় নতুন চমক যোগ হয় ৪ দাঁতের প্রাপ্তবয়স্ক দেশীয় প্রজাতির বামন গরু চারু। যার উচ্চতা ২৩ দশমিক ৫০ ইঞ্চি, লম্বা ২৭ ইঞ্চি এবং ওজন ৩৯ কেজি। যাকে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে।

    চারুকে নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে কাজী সুফিয়ান বলেন, আমাদের ইচ্ছে ছিল বিশ্বরেকর্ডধারী রানিকে বাংলাদেশ সরকারকে উপহার হিসেবে দেওয়া। যেন সরকারের তত্ত্বাবধানে রানি তার জীবনের সর্বোচ্চ সময়টা উপভোগ করতে পারে। কিন্তু রানি অকালে চলে যাওয়ায় সে সুযোগটা আর আমরা পাইনি। এখন চারু যাতে তার জীবনের সর্বোচ্চ সময়টা উপভোগ করতে পারে, এই আমাদের চাওয়া।

    পূর্বপশ্চিম- এনই

    বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু,খর্বাকৃতির গরু
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close