নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ
অবশেষে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এখন যেকোনো সময়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইনটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল- ২০২২ জাতীয় সংসদে পাশ হয়। এরপর শনিবার বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নতুন এই আইন অনুযায়ী শিগগিরই গঠিত হবে সার্চ কমিটি।
জানা গেছে, আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটি হবে। আইন অনুসারে যোগ্যতা বিবেচনা করে কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। সেই দশ জনের মধ্য থেকেই পাঁচ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী তার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেই কমিশনের অধীনেই হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
অনুসন্ধান কমিটিতে থাকবেন একজন নারী। সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এরপর তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। শনিবার এই বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। আজ তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক।
সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক।
এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে।
বিলে প্রাথমিকভাবে সার্চ কমিটির কাজের সময়সীমা ১০ কার্যদিবস করার বিধান রাখা হয়েছিল। সেটি এখন ১৫ কার্যদিবস করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত সংশোধনী সংসদ গ্রহণ করে।
পূর্বপশ্চিম/এসকে